বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইসলাম শান্তির ধর্ম,মৌলবাদ দুর্নীতি, চাঁদাবাজ মিথ্যা পরিহার করার আহ্বান, ধর্মীয় সভায়, এবি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির  গফরগাঁও শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ফরিদপুরে ইউপি সদস্যসহ ৯ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ফরিদপুরে বিএনপি নেত্রীর গাড়ী বহরে হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আটক ফরিদপুরে ৪ দিনব্যাপী জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন সম্পন্ন   ফরিদপুরে তারণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে অনুর্ধ্ব ১৮ বালক-বালিকার কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের দু’টি এলপি গ্যাসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান গৌরীপুরে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার 0৬ থানার সামনে টিকটক, আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষঃ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট;আহত-৩০
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

আবুধাবিতে কারখানায় আগুন, ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক: / ৩৭ Time View
Update : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি আসবাবপত্র কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে আবুধাবির শারজাহ শহরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

নিহতদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তারা হলেন, সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তারাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৪৫), একই গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন বাদল (৪২) ও আবদুল ওহাবের ছেলে মো. রাসেল (২৬)।

ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, একসঙ্গে তিন প্রবাসীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের দাবি মরদেহগুলো যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

নিহত রাসেলের মা শরীফা বেগম বুকচাপড়ে কান্না করে বলেন, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল ছিল দ্বিতীয়। ঢাকার একটি ব্যাগ কারখানায় চাকরি করে সংসার চালাতো সে। তিন বছর আগে সে বিয়ে করেছে। দেড় বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার। জীবিকার তাগিদে ও পরিবারের খরচ চালাতে প্রায় ৬-৭ লাখ ধারদেনা করে ২০২২ সালে আবুধাবিতে যায় রাসেল।

রাসেলের স্বজনরা জানান, একই এলাকার আরও কয়েকজন থাকায় ওই সোফা কারখানায় চাকরি করতো রাসেল। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত ১টার দিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। পরদিন রাতে ডিউটি আছে তাই দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বে বলে মোবাইলে বিদায় নেয় রাসেল। মঙ্গলবার দুপুরে আবুধাবিতে থাকা এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে রাসেল মারা গেছে। পরিবারের অভাব-অনটনের মধ্যের একটু ভালো থাকার আশায় ধারদেনা করে রাসেলকে পাঠানো হয়েছিল সেখানে। এখন সবই শেষ।

নিহত ইউছুফ মিয়ার বড় ছেলে মহিনুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে আবুধাবি যায় তার বাবা ইউছুফ মিয়া। এরপর থেকে সোফা কারখানাটিতে চাকরি করতেন তিনি। সবশেষ গত পাঁচ বছর আগে দেশে এসেছিলেন। গত এক বছর আগে মালিকের কাছ থেকে কারখানাটি ক্রয় করে নিজের দেশের শ্রমিক দিয়ে সেটি পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। দীর্ঘধিন কষ্ট করে একার আয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। ভালো সময় আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন দুর্ঘটনা আমাদের পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

এদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে তারেক হোসেন বাদলকে হারিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন বাবা মীর হোসেন। চার ছেলের মধ্যে দুই জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরই মধ্যে চলে গেলেন বাদল।

মীর হোসেন বলেন, কয়েক বছর ওমান থাকার পর ভিসায় সমস্যা থাকায় গত বছর দেশে এসে ৮ মাস আগে আবুধাবি যায় বাদল। একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত একজনসহ তার তিন ছেলে রয়েছে। দুই ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসার চালানোর দায়িত্ব তার কাঁধে ছিলো। বাদল চলে যাওয়ায় আমাদের পরিবারের সব শেষ হয়ে গেছে।

নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দাবি যেহেতু আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের যেটুকু অংশ রয়েছে সেটুকু যেনো বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin