নকআউট পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রূদ্ধশ্বাস জয়ে পর সেমিফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোল থাকায় এক্সট্রা ৩০ মিনিট খেলার পরও কোনো গোল পায়নি মেসি-মার্টিনেজরা। এর ফলে ম্যাচ ট্রাইবেকারে গড়ায়। ট্রাইবেকারের শেষ শটে জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে নেতিবাচকভাবে আলোচনায় উঠে এসেছেন ম্যাচ পরিচালনায় মূল দায়িত্বে থাকা স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহোস।
আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ওই ম্যাচে রেফারি লাহোস আর্জেন্টিনার কোচ, লিওনেল মেসিসহ দুই দলের খেলোয়াড়দের ১৮টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। আর ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডুমফ্রিজকে ম্যাচের একেবারে শেষ সময় লাল কার্ড দেখিয়ে (দুই হলুদ কার্ড) মাঠ থেকে বিদায় দেন তিনি। ম্যাচে এত বেশি কার্ড দেখে বিরক্তই হয়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।
এ ছাড়া ম্যাচের প্রথম থেকেই ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে গেছেন মাতেও। ১২০ মিনিটের ম্যাচে ৪৮ বার ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। এদিকে এই ম্যাচে ১৮ হলুদ কার্ড দেখিয়ে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখানোর রেকর্ড গড়েছেন স্প্যানিশ এই রেফারি।
এর আগে, ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশ রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব ১৪ হলুদ কার্ড দেখান, বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে যা ছিল রেকর্ড। কিন্তু শুক্রবার সে রেকর্ড ভেঙে দিলেন আন্তনিও মাতেও লাহোস।
ম্যাচ শেষে রেফারির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মেসি বলেন, আমার মনে হয় ফিফার এই রেফারিকে এই ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না। কারণ তিনি এর যোগ্যই না।
আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজও ক্ষুব্ধ স্প্যানিশ এই রেফারির ওপর। তিনি বলেছেন, লাহোস এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে রেফারি। তিনি খুবই জেদি। তাকে কিছু বললে তিনি বাজেভাবে উত্তর দেন। আমার মনে হয়, স্পেন বিদায় নেওয়ায় তিনি আমাদের বিদায়টা খুব করে চেয়েছিলেন।