বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইসলাম শান্তির ধর্ম,মৌলবাদ দুর্নীতি, চাঁদাবাজ মিথ্যা পরিহার করার আহ্বান, ধর্মীয় সভায়, এবি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির  গফরগাঁও শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ফরিদপুরে ইউপি সদস্যসহ ৯ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ফরিদপুরে বিএনপি নেত্রীর গাড়ী বহরে হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আটক ফরিদপুরে ৪ দিনব্যাপী জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন সম্পন্ন   ফরিদপুরে তারণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে অনুর্ধ্ব ১৮ বালক-বালিকার কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের দু’টি এলপি গ্যাসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান গৌরীপুরে ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার 0৬ থানার সামনে টিকটক, আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষঃ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট;আহত-৩০
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে নির্যাতন

Reporter Name / ১২২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ২:৪৮ অপরাহ্ন

মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী (১৪ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রভোস্ট সামসুল হক।
সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপর অভিযুক্ত তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের। গত সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, তাঁর ভাষ্যমতে, ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়। এ জন্য তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর কাছে অতিথি হিসেবে থাকেন। বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুম নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান, কারা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে থাকেন। এ সময় ওই ছাত্রী হাত তোলেন। হলে ওঠার বিষয়টি আগে তাবাসসুমকে না জানানোয় চটে যান তিনি। এরপর তাঁকে হলের কক্ষে প্রজাপতি ২ দেখা করতে বলেন। তবে অসুস্থ থাকায় দেখা করেননি তিনি। ১১ ফেব্রুয়ারি ক্লাসে গেলে তাঁকে বকাঝকা করেন তাবাসসুম।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এই ঘটনার জেরে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে হলের গণরুমে দোয়েল তাঁকে ডেকে নেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী। সেখানে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি দল তাঁকে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নানাভাবে নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিচ্ছিল আর এর ফাঁকে ফাঁকে চালাচ্ছিল শারীরিক নির্যাতন। কিল, ঘুষি, থাপ্পড় কোনোটাই বাদ রাখেনি। কাপড় আটকানোর আলপিন দিয়ে পায়ের ঊরুতে ফুটাচ্ছিল। ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেন, নির্যাতনের সময় আরেক ছাত্রী মুঠোফোন দিয়ে ভিডিওধারণ করেন। একপর্যায়ে বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণ করা হয়। কাঁদতে কাঁদতে তিনি পা ধরে ক্ষমা চাইলেও তাঁরা কোনো কথা শোনেননি। গণরুমে এ সময় উপস্থিত সাধারণ ছাত্রীরাও কোনো কথা বলেননি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণের সময় হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় এই কথা কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এমনকি প্রভোস্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় লিখে দিয়ে আমাকে বলেছে, হাসবি আর এগুলা বলবি। সব তারা ভিডিও করে রেখেছে। আপুরা মারার সময় বলছিল মুখে মারিস না, গায়ে মার যেন কাউকে দেখাতে না পারে। রাতের কথা কাউকে জানালে ওই ছাত্রীরা তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, এ কথা কাউকে বললে হল থেকে বের করে দেবে বলে শাসায়। এই কথা বাইরে গেলে ভিডিও ভাইরাল করে দেবে। তাঁরা বলে, তুই হলের প্রভোস্ট স্যারকে বলবি, সব আমার দোষ, এই হলে থাকব না। এসব বলে হল থেকে একেবারে চলে যাবি। এই কথা ১৪ তারিখ বলবি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, অনেকবার ক্ষমা চেয়েছি, কেউ কোনো কথা শোনেনি। রাত সাড়ে তিনটার পর তাঁরা চলে যায়। আমি গণরুমেই ছিলাম। এরপর গতকাল সকাল নয়টার দিকে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে বাসে উঠে গ্রামের বাড়িতে চলে আসি। আমার শরীর ব্যথা। জ্বর অনুভব করছি। ঠিকমতো খেতে পারছি না। গালের ভেতর সামান্য কেটে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। যাঁরা জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি চাই। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ওই মেয়ে কি কোনো অভিযোগ দিয়েছে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে এরপর তিনি দাবি করেন, অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ওই মেয়ে মিথ্যা বলছে। হয়তো এক কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি উপাচার্যের কাছে এসেছি। ওই মেয়ে যে মিথ্যুক, তাঁর প্রমাণ উপাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষক মিলে আছি বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin