নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানি পর্যন্ত জাপানি বংশোদ্ভূত দুই সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে নাকানো লায়লা লিনা পর্যায়ক্রমে একদিন তার বাবা ও আরেকদিন তার মায়ের হেফাজতে থাকবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে জাপানি দুই সন্তান নাকানো লায়লা লিনা ও নাকানো জেসমিন মালিকা এবং তাদের মা-বাবা আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আদালত আপিল শুনানি পর্যন্ত ছোট মেয়ে নাকানো লায়লা লিনা পর্যায়ক্রমে একদিন তার মা নাকানো এরিকোর কাছে এবং অপরদিন প্রকৌশলী ইমরান শরীফের কাছে থাকবেন বলে আদেশ দেন।
গত ২২ জানুয়ারি দুপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান জাপানি বংশোদ্ভূত সেই দুই সন্তান তার মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রকৌশলী ইমরান শরীফ পারিবারিক আদালতে আপিল করেছেন। এ বিষয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।