পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে
আমার কান্নার সাথী হয়েছে
অসীম নীলাকাশ, সবুজ প্রকৃতি
মরা বুড়িগঙ্গার ঘোলাটে জল,
বিরহ ব্যথায় ব্যথিত স্বজন,
রেল স্টেশনে বিনা বালিশে রাত যাপিত
ঐ সুখী মানুষগুলো।
মিহি ঠোঁটের মন মোহিনী হাসি
চাঁদের আলোর ঝলমলে আভা
সন্ধ্যাতারার অবাধ ছুটোছুটি
আমাকে হাসাতে পারেনি।
আমি কেনোই বা কেঁদে চলেছি?
একবারও কেউ জানতে চায়নি
না পাওয়ার বেদনায় নয়,
নয়তো হতাশায়,নয়তো ব্যর্থতায়
দারিদ্র্যের কষাঘাতে নয়,
নয়তো ভালবাসার অপরাধে।
তবে কেনো আমার এতো কান্না?
নিষ্ঠুর পৃথিবীর নির্মম অবহেলা
বুভুক্ষু মানুষের করুণ আর্তনাদ,
স্বামীহারা রমনীর বুকফাটা দীর্ঘশ্বাস,
কিশোরী ধর্ষণের সবাক চিত্র,
হত্যা,খুন,রাহজানি,ঘুষ
গণতন্ত্রের নামে মনোতন্ত্র,
স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা,
পরকীয়ার মতো নির্লজ্জ বেহায়াপনা,
অগ্নিদহন,রাস্তার দূর্ঘটনায় মৃত্যু,
আর বেওয়ারিশ লাশের সুঘ্রাণ
আমাকে আজও চরমভাবে কাঁদায়।
অনেক কেঁদেছি আমি
আর কাঁদতে চাইনি।