আব্দুর রউফ ভূঁইয়া: বিশেষ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মনির হোসেন ফয়সাল (১৭) নামে এক কিশোর অটো চালককে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সরারচর এলাকায় রাস্তার পাশে ধানক্ষেত থেকে মনির হোসেন ওরফে ফয়সাল নামের ঐ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মনির হোসেন ফয়সাল বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের মসলিশপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। নিহত ফয়সালের বাবাও পেশায় একজন অটোচালক।
নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যম কে জানান, পরিবারের অভাব অনটনের কারণেই তার ছেলে ফয়সাল ও কিশোর বয়সেই অটোরিকশা চালানো কে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিল ।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায় যে গত মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার সময় ভাড়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে ফয়সাল কে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত কে বা কারা ডেকে নিয়েছিল। এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা রাত বিভিন্ন স্থানে তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরের দিন বুধবার সকাল ৮টার দিকে সরারচর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের কাছে উজানচর-বাজিতপুর সড়কের পাশে একটি ধানক্ষেতে ফয়সালের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী পরে এই বিষয়ে পুলিশ কে খবর দেয়।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ নূরে আলম সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সংবাদ মাধ্যম কে জানান অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই কিশোর “ফয়সাল” কে গলায় কাপড় ও রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই কাজে জড়িত। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
বাজিতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাজিতপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে, থানা কর্তৃপক্ষ।