আব্দুর রউফ ভূঁইয়া: বিশেষ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল পরিবহন শ্রমিকের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার বিকালে শহরের গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুম ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য শফিকুল ইসলাম মানিক যাতায়ত পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে যাতায়ত পরিবহনের গাড়ী চালানো বন্ধ রাখতে বলেন।
এ সময় যাতায়ত পরিবহনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রমিক কাঞ্চন ও বাবু গাড়ি বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে তাদের সাথে কথা এই বিষয়ে কাটাকাটি শুরু হয়ে একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুম ও যাতায়াত পরিবহনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
ঘটনার পর কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় পুনরায় গাড়ী চালানো চালু করা হয়।জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুম সংবাদ মাধ্যম কে জানান, যাতায়াত পরিবহনের চেয়ারম্যান মানিক সরকারের কাছে সাধারণ মালিকরা ১৫ লাখ টাকা পাবে। এই টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের গাড়ি চালানো বন্ধ থাকবে।
হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় যাতায়াত ছাড়া অন্য পরিবহনের বাস পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
যাতায়াত পরিবহনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যাতায়াত পরিবহনের ৫০টি বাস ১৮দিন যাবত বন্ধ। শফিকুল ইসলাম মানিক ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দিলে একটি গাড়িও চলতে দিবে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানিক বলেন, যাতায়াতের চেয়ারম্যান মানিক সরকারের কাছে সাধারণ মালিকদের অনেক টাকা পাওনা।
টাকা না দেওয়ায় মালিক-শ্রমিক যৌথ সিদ্ধান্তে তাদের বাস বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতির ওপর যাতায়াতের লোকজন হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-আমিন হোসাইন জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ ও ১১ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়েছে। বর্তমানে উক্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।