বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

কুষ্টিয়ায় ভারত সুন্দরী কুল চাষে লাভবান চাষি রায়হান

Reporter Name / ১২৫ Time View
Update : সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়াভারত সুন্দরী কুল আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন চাষি রায়হান। রায়হান কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়ন শিমুলিয়া গ্রামে মাঠে তিন বিঘা জমিতে উন্নত জাতের এই কুলের আবাদ করছেন।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া মিরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রায়হান দুই থেকে আড়াই বছর মালয়েশিয়া ছিলেন। অনেক পরিশ্রমের কাজ করতেন তিনি সিদ্ধান্ত নেন এত কষ্ট করা তার পক্ষে অসম্ভব তারপর দেশে ফিরে আসেন। তিনি ভাবতে থাকেন কি চাষ করলে লাভবান হওয়া যাবে। ইউটিউব দেখে জানতে পারেন ভারত সুন্দরী কুল চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে।
প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা খরচে চারা নিয়ে এসে তিন বিঘা জমিতে এ জাতের কুলচারা লাগান। অল্প সময়ে চারাগুলো বেড়ে ওঠে। তিন মাসের মধ্যেই ফুল ও ফল ধরা শুরু করে। এখন প্রতিদিন ২-৩ মণ করে কুল তুলে কুষ্টিয়ার আড়তে বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রায় তিন লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। আরও দুই লাখ টাকার কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি। কুল গাছের ওপরে নেট জাল টাঙিয়ে দিয়েছেন যাতে পাখিরা কুল নষ্ট করতে না পারে।
অপরদিকে, গাছের কলম করতে শুরু করেছেন। সুস্বাধু মিষ্টি এ কুল গাছে কোনো কাটা নেই। সহজেই পরিচর্যা ও কুল তোলা যাচ্ছে। আর দুমাস পরেই কুল তোলা শেষ হলে গাছের ডাল কেটে দেয়া হবে। সাথে সাথে গাছের চারাও কমিয়ে দেয়া হবে। জমিতে এখন ৯ শতাধিক গাছ রয়েছে। আগামী বছরে অর্ধেক গাছ থেকে আরও বেশি কুল ধরবে বলে আশা করছেন তিনি। তিন বিঘা জমিতে পরিচর্যার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ, কুল তোলা, চারা কলম করার জন্য ৪-৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। কুলের চারা লাগানোর আগে জমিতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সার দিয়েছিলেন তিনি। আর কোনো সার দিতে হয়নি তাকে। সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি ২ লাখ টাকা লাভ করবেন। পাশাপাশি চারা তৈরি করে বিক্রিও করবেন।
কুলচাষি রায়হান জানান, বাবার সাথে সহযোগী হিসেবে চাষ শুরু করেছিলাম। কিন্তু ওইসব চাষে লাভ করতে পারিনি। বিকল্প হিসেবে উন্নত জাতের ভারত সুন্দরী কুল চাষ করে লাভের মুখ দেখছি। আমাদের প্রতিটি জমিই চাষের আওতায় আনা হবে।মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যে ফসল চাষ করে চাষিরা লাভবান হবেন সেই ফসলই আবাদ করবে। আর এসব ফসলের উপর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তবে রায়হানদের মতো অন্য তরুণ ও যুবকরা এরকম উন্নত জাতের কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin