মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ায় এবছর আগামজাতের মুলকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পিয়াজের বীজের দাম কম হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে চাষীদের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে মনের আনন্দে মুখভরা হাসি নিয়ে চাষীরা ক্ষেত থেকে মুলকাটা পেঁয়াজ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দরেও লাভ হওয়ায় তারা খুশি বলে জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে মুলকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরেই চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ হেক্টরে জমিতে। এবছরও বীজ বা চারার দাম কম হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে চাষীদের খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের ফলন হচ্ছে ৭০ মন থেকে ৮০ মন পর্যন্ত। যা থেকে বিঘাপ্রতি চাষীদের লাভ হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী না করার দাবি চাষীদের।
দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের শশীধরপুর এলাকার সফল কৃষক ও পিয়াজ চাষী নাসির উদ্দিন জানান, বিগত কয়েক বছর পেঁয়াজ চাষ করে আমাদের মত চাষীদের লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে এবছর পিঁয়াজের বীজের দাম কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। বিঘা প্রতি ফলনও ভাল হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৭০ মন থেকে ৭৫ মন আবার কারো আরো বেশী ফলন হচ্ছে। লাভও হচ্ছে ভাল।
পার্শ্ববতী স্বরুপপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী নিজাম উদ্দিন জানান, প্রথমে যারা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে বিক্রয় করেছে তাদের বেশী লাভ হয়েছে। এখন তুলনামূলক কম লাভ হচ্ছে। তবে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার দাবি জানান তিনি। চাষীদের কাছ থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে পাইকার ব্যবসায়ীরাও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আড়তদার বুলবুল আহমেদ সহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ চাষে চাষীদের বীজ, সার সহ প্রয়োজীয় প্রনোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরামর্শ দেওয়ায় পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়েছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় চাষীরা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম।