
মো. হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর
শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফিসের সঙ্গে আরোো অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পাছার উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়ের ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পরীক্ষার ফিসের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এ টাকা আদায় করা হয়েছে। কাউকে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। জানান ক্ষুব্দ অভিভাবকরা।
বুধবার ৭ জুন বিকালে সত্যতা যাছাইয়ের জন্য সরজমিন গেলে এ অভিযোগেন সত্যতা মিলে।
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম ইসলাম সিয়াম, সানিমুল ইসলাম, রেদোয়ান আহমেদ জনি ও মাসুদ মিয়া জানান, আমাদের প্রত্যেককের কাছ থেকে উন্নয়ন ফিস ৫শ টাকা, সেশন চার্জ ৫শ টাকা, বেতন ৬শ টাকা, পরীক্ষার ফিস ৪শ টাকা ও আইসিটি বিভাগের চার্জ ৫শ টাকা মোট ২হাজার ৫শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। আরেক শিক্ষার্থী জানান, দু’চার জন্য এখন কিছু বাকী রেখে প্রবেশপত্র নিতে পারলেও এটা পরে দিয়ে দিতে হবে। এ বিদ্যালয়ে কাউকে মওকুফ করা হয় না। ৮ম শ্রেণির অভিভাবক জানান, আমি শ্রেণি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেছি, তারপরেই কোনো ফিস ছাড় দেননি।
শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আইসিটি খাতে ৫শ ও উন্নয়ন খাতে ৫শসহ প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফিসের সঙ্গে অতিরিক্ত ফিস গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ম শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক মো. ফারুক আহমদ।
আমি আমার সিদ্ধান্তে তো শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফিস আদায় করছি না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ৫শ টাকা ও আইসিটি খাতে ৫শ টাকা ফিস ধার্য্য করা হয়েছে। তবে সবাইতো আর দেয় না! এই তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আরশাদুল হক।
ফিস কি ভাবে আদায় করা হচ্ছে সেটা প্রধান শিক্ষককের সাথে দেখা করে বুঝতে হবে। এই বিষয়ে এই মহুত্বে কোন তথ্য দিতে পারচি না।
মো. আব্দুল মান্নান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত ফিস আদায়ের কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম।