মো. হুমায়ুন কবির,গৌরীপুরঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৩০ জন কার্ডধারী ১৫ টাকা কেজি দরে ১ মাস ধরে চাল ক্রয়ে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাওহা ইউনিয়নের ডিলার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলাবার ২৯ নভেম্বর দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ এর কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
একাধিক সুবিধাভোগীরা জানায় গত দুইমাস চাল উত্তোলন করলে ও নভেম্বর মাসের চাল আমরা পাইনি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন কার্ডধারী।
১,কুলসুমা স্বামী লিটন মিয়া কার্ড নং ১৬২। ২, মোবারক মিয়া পিতা আবু সিদ্দিক কার্ড নং ১৪০। ৩,শফিকুল ইসলাম পিতা বাচ্ছু মিয়া কার্ড নং ১৬১। ৪,মিনা আক্তার বাচ্ছু মিয়া কার্ড নং ১৫৯। ৫, রোকেয়া আক্তার স্বামী জিয়াউর রহমান কার্ড নং ১০২। ৬, রেজিয়া খাতুন স্বামী দেওয়া আলী কার্ড নং ১৩৫। ৭,এনামুল হক পিতা আব্দুল হাই কার্ড নং ১২০১। ৮, ফাতেমা মৃত সিদ্দিক কার্ড নং ১৫৮। ৯, সোহরাব মিয়া পিতা ছিদ্দিক কার্ড নং ১২১৮। ১০, মালেকা খাতুন, মোঃ আব্দুর রশিদ কার্ড নং ১৫৫। ১১,বেগম স্বামী রইছ উদ্দিন কার্ড নং ১৫১। ১২, হাজেরা খাতুন স্বামী আব্দুল মান্নান কার্ড নং ১৫১। ১২, বাচ্চু মিয়া পিতা উমেন আলী, কার্ড নং ১৪২। ১৩, ফজলুল হক পিতা জমদর আলী, কার্ড নং ১৭৮। ১৪, সাদেক মিয়া পিতা কদর আলী কার্ড নং ১০৫। ১৫, ললিতা স্বামী সুজন মিয়া, ১৬০। ১৬ সালেমা আব্দুল বারেক কার্ড নং ১৪৬। ১৭, কিতাব আলী মৃত ইসমাইল কার্ড নং ১৪৪। ১৮, হাজেরা খাতুন আব্দুস সালাম ১০৬। ১৯,সখিনা বেগম স্বামী উছমান গনি, কার্ড নং ১৩০। ২০, রেনু স্বামী গোলাপ মিয়া কার্ড নং ৯৭। ২১, মুর্তুজ আলী মৃত বাদুর আলী কার্ড নং ১১১। ২২,আফিয়া স্বমী রুহুল আমিন কার্ড নং ৯৩। ২৩,হিরা বেগম স্বামী আব্দুল করিম কার্ড নং ৯৪। ২৪,আছমা বেগম ফক্কর উদ্দিন কার্ড নং ১৭০।
২৫, সোহেল মিয়া পিতা গুনজর আলী কার্ড নং ৯৫৯। ২৬, বেগম স্বামী হামিদ কার্ড নং ৯৫৮,। ২৭, রিনা আক্তার আব্দুল মোতালিব কার্ড নং ১৬৭। ২৮ ফরিদা খাতুন স্বামী আবৃদুল হেলিম কার্ড নং ১৩৯। ২৯, নুরুল ইসলাম পিতা মিয়া বক্স কার্ড নং ১৪৩। ৩০ আবুল কাসেম পিতা ছমেদ আলী কার্ড ১৬৯ সহ আর ও প্রায় ২০ জন।
কার্ডধারী আবুল কাসেম জানান আমরা দুই বার চাল উত্তোল করেছি এখন ডিলার আব্দুল জব্বার বলছে আপনাদের চাল গৌরীপুর থেকে তালিকা আসেনি তাই আমি দিতে পারব না, উপজেলায় আসিয়া দেখি আমাদের নাম তালিকায় আছে কিন্তু আমারা গরীবের চাল কার কাছে গেলে পাব? ঘরে চাল নেই খাব কি?
এ বিষয়ে ডিলার আব্দুল জব্বারের কাছে মন্তব্য জানতে তার ব্যাক্তিগত মোবাইলে একাধিকার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আল ফারুখ জানান দুই মাস তারা চাল উত্তোলন করলেও নভেম্বর মাসের চাল সুবিধাভোগীদের দেওয়া হয়নি এজন্য ইউএনও স্যারের কাছে এসেছি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান যতটুকু অনুমোদন হয়েছে ততটুকটু মাল দিয়েছি। যদি কেউ না পেয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।