স্টাফ রিপোর্টারঃ
জামালপুর সদরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত নান্দিনা-লক্ষীরচর সেতুর পাশে জমি নিয়ে বিরোধে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আহত ৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হামলার সময় ১০ লাখ টাকা লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে। জামিনে থাকা আসামীরা মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে।
জানা গেছে, জামালপুর সদরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নান্দিনা-লক্ষীরচর সেতুর পাশে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে লক্ষীরচরের মোহাম্মদ আলীর পুত্র লক্ষীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বকুল হোসেনের সাথে একই এলাকার মৃত ছবর উদ্দিনের পুত্র কবিরের। এই বিরোধের জেরে গত ১০ মার্চ রাতে বকুল হোসেনের পরিচালিত নান্দিনা বাজারস্থ বন্ধু সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয়ে জঙ্গি স্টাইলে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ কবির এবং তার লোকজন। হামলাকারীরা এসময় নগদ ১০ লাখ টাকা লুট ও সমিতির অফিস ঘরের ব্যাপক ভাংচুর করেছে। অতর্কিত হামলায় আহত হন- বকুল হোসেন (৪২), আকবর হোসেন (৪৬), শফিকুল ইসলাম (৪২), সোহাগ (৪২) ও মিজান (৩৩)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত বকুল হোসেন ও আকবর হোসেনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা তাদের স্বজনদের জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ লক্ষীরচরের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোঃ আছান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে লক্ষীরচরের মৃত ছবির উদ্দিনের পুত্র মোঃ কবির, মোস্তফার পুত্র লাইজু মিয়া ও হারুনুর রশীদের পুত্র স¤্রাট আলীসহ ২১ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে মামলার বাদী মোঃ আছানসহ পরিবারের লোকজন। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিন নেবার পর মামলার বাদী ও তার পরিবারের লেঅকজনকে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ শেখ ফরিদ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ৯ জন আসামী আদালত থেকে জমিন নিয়েছে এবং বাকীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।