তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির লাইভ আপডেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কের ৮ হাজার ৫৭৪ এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৬৬২ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের ধারণা, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৯ হাজার সেনাসহ ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল ও সাহায্য আসতে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কাতার সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘরসহ ত্রাণসামগ্রী, পর্যাপ্ত পরিমাণ তাঁবু ও শীতবস্ত্রও পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।