
আমাদের কোন দায়িত্ব নেই , দায় দায়িত্ব সব জেলা প্রশাসকের –
নির্বাহী প্রকৌশলী , পানি উন্নয়ন বোর্ড
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের শহর রক্ষা বাধ হুমকির মুখে , যেকোন সময় ফরিদপুর শহর নদীগর্ভে চলে যেতে পারে । শত শত কোটি টাকা খরচ করে ব্লকের মাধ্যমে ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট থেকে শুরু করে চরভদ্রাসন উপজেলা , সদরপুর উওপজেলা ও ভাঙ্গা উপজেলার পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্লক বাধ নির্মাণ করা হয়েছে । পদ্মানদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্পগুলো বাস্তবাইয়ন করেছেন ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড । তার মধ্যে অন্যতম ব্লক বাধ হচ্ছে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাধ । সাম্প্রতি মাস ২ ধরে সদর উপজেলার ফরিদপুর শহর সংলগ্ন ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের মদনখালী ও ধলার মোড় এলাকা থেকে প্রতি রাতে অন্ধকারে প্রভাবশালী দুই নেতার নাম ব্যবহার করে শের আলী গং , সাঈদ মীর গং , রাজু গং , রুহুল আমিন গং , দুলাল গং , তুষার গং ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শেখ , আরেক শ্রমিক লীগ নেতা সেলিম গংরা যৌথ ভাবে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাধ সংলগ্ন এলাকা থেকে ৪ টি গ্রুপে ১২ টি বেকু দিয়ে শত শত ট্রাক মাটি উত্তোলন করে ১৫/২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । ক্ষতি হচ্ছে উক্ত এলাকাবাসীর এবং শহর রক্ষা বাধ ।
ডিগ্রীরচর এলাকাবাসীরা জানান , উপরোক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী ২ নেতার নাম ব্যবহার করে রাতভর মাটি কেটে নিচ্ছে আর ক্ষতি হচ্ছে আমাদের । আমরা রাতে ট্রাকের শব্দে ঘুমাতে পারি না এবং বাড়ি – ঘর বালু কাদায় বিনষ্ট হয়ে যায় ।
মাটি কাটার বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর শেখ , শের আলী , রুহুল আমিন , তুষার গং ,রাজু গংরা জানান , ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির ও ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি আবু ফকিরের নেতৃত্বে আমরা এই মাটি বিক্রী করে ঐ টাকা দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য তাদেরকে দিয়ে থাকি । তারা অপর দুই প্রভাবশালী নেতাকে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা হলে তারাই ম্যানেজ করে থাকেন ।
মাটি কাটার বিষয়ে ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন চেয়াম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান , আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না , আমার কথা বলে থাকলে তাহা মিথ্যা ।
এ বিষয়ে ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের আঃলীগ সভাপতি আবু ফকির জানান , বিষয়টি আমি খোজ খবর নিয়ে আপনাকে জানাবো ।
ফরিদপুর জেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ জানান , দলের নাম ভাঙিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই । তবে যদি আঃলীগের কোন নেতা যদি এ মাটি কাটার সাথে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান , নদীর মাটি কে বা কারা কাটলো এ দেখার দায়িত্ব আমার না , এ দায়িত্ব ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের । তার সাথে যোগাযোগ করুন ।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান , নদীর মাটি কাটার বিষয়গুলো ভুমি উন্নয়ন বোর্ড , পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পুলিশ বাহিনীর দেখে রাখার দায়িত্ব । এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো জানান , আমার পক্ষে রাতে মাট কাটার সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সম্ভব নয় , আমি ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কয়েকটি বেকু চেয়ারম্যানের নিকট জব্দ করে জিম্মা রেখে এসেছি । আমি আবার এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো ।