নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষাকে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমে ০১/০৭/১৯৭৩ তারিখে ৩২,০০০ পরবর্তীতে বাদ পড়া আরো ৪,১৬৫টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে মোট জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৬১৬৫টি।
তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ৪০ বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শিক্ষাবান্ধব সরকার, মাদার অব হিউম্যানিটি, জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯ জানুয়ারি ২০১৩ইং তারিখের ঐতিহাসিক ঘোষণার মাধ্যমে ২৬১৯৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন এবং ঘোষণা দেন ২৭ /০৫/২০১২ তারিখের পূর্বে যে সকল বিদ্যালয়ের দলিল পাঠদানের অনুমতি আছে সকল বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু বিদ্যালয়ের সকল শর্ত থাকা সত্ত্বেও অদ্য পর্যন্ত জাতীয়করণ করা হয় নাই। উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ৪৬৬৫টি যোগ্যতাসম্পন্ন বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
৯ জানুয়ারি ২০১৩ইং সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ উক্ত দিনটিকে ‘শিক্ষা জননী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করবে এবং সেই সাথে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ পরিষদের কমিটি ঘোষণা করা হলো।
বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি’র চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. শরীফুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা এম.পি। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজাউল করিম বাবলু এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সূমনা আক্তার লিলি। উম্মে জহুরা, জাহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ইমাম রফিক, হাফিজুর রহমান, রাবেয়া বসরী, চর শাহজালাল, নুরুল আবছার, মুস্তাফিজুর রহমান, বিবি আনোয়ারা বেগম, ইউনুস, হাজী আব্দুল আউয়াল, আনিসুর রহমান, গোলাম মন্ডল, মুফতি খলিলুর রহমান জিহাদী, মো. গোলাম মেহেদী মকবুল, মুফতি মো. আব্দুল আলিম বিজয়ী, মাজহারুল হক, ইদ্রিস আলম, মো. নুরে আলম, এস.এম.এস আব্দুল করিম, হাফিজুর রহমান আনোয়ার, হোসেন ফারুক, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার শাহ, মো. তাজুল ইসলামসহ দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।