মোঃ জিয়াউর রহমান , স্টাফ রিপোর্টার
বিয়ের করে বউ ও বরযাত্রী নিয়ে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন বর। হঠাৎ পথিমধ্যে কয়েক জন যুবক প্রাইভেট কারটির সামনে এসে চাঁদার দাবিতে পথরোধ করেন। এরপর গাড়িটিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও লাথি মারা শুরু করেন। আর পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়।
আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদীর ওপর নির্মিত শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। উৎসুক জনতা এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে এ ঘটনাকে নিছক মশকরা বলে দাবি করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। গাড়ি চালকদের ভাষ্য, চাঁদা না পেয়ে অজ্ঞাতনামা বখাটেরা পথ রোধ করে গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক জনতার ভিড়। সেখানে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন আলী রয়েছেন। মোটরসাইকেলে করে কয়েকজনকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। প্রাইভেট কারের ভেতরে বর ও বউ। গাড়িটির সামনে ও পেছনের কিছু অংশে ভাঙচুরের চিহ্ন। বরযাত্রী বোঝায় মাইক্রোবাস গাড়িটির সামনেও ক্ষত রয়েছে। এ সময় গাড়ি চালক রাশেদ ও রফিকুল জানান, সেতুর ওপরে গাড়ি কিছুটা ধীরে ধীরে চলছিল। সেতুর মাঝে পৌঁছাতেই হঠাৎ ১০–১২ জন বখাটে পথ অবরোধ করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে তারা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে স্থানীয়রা এসে বখাটেদের মধ্যে চারজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
জানতে চাইলে থানার উপসহকারী পরিদর্শক মো. রিপন আলী জানান, খবর পেয়ে পথ আটকে বিয়ের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলার ঘটনায় পূর্ব কোনো শত্রুতা আছে কি না, তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে আটকের বিষয় অস্বীকার করেছে কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ছোট বেলায় অনেকে বিয়ের গাড়ি আটকে মশকরা করত, চাঁদা তুলত। ব্যাপারটা এমন হতে পারে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।