বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রূপগঞ্জে সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা ফুলপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে তুলে দিলেন মা! ৬ মাসের কারাদণ্ড সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার রূপগঞ্জে ভূলতা  সিলেট মহাসড়ক যানজট মুক্ত   নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা  হাইওয়ে পুলিশ দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি, ৭ কর্মকর্তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত সচিবালয়ের ক্যান্টিনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘর্ষ বাংলা বললেই জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে : ক্ষোভ মমতার রূপগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ভাঙ্গন আতঙ্কে তেঁতুল বাড়িয়া এলাকাবাসি

Reporter Name / ৮০ Time View
Update : সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩, ২:৫৪ অপরাহ্ন

কাওসার হামিদ, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর বেরিবাঁধে ফের নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। উপজেলায় নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় দেখা দিয়েছে এই ভাঙ্গন। এর ফলে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তারা। বাঁধ ভেঙে গেলে পুরো নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে প্রবল জোয়ারে প্রায় ১০০ ফুটের মতো বেড়িবাঁধ নদীতে চলে যায়। বাঁধের এই অংশে দেড় থেকে দুই ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। তাৎক্ষণিক মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধের এই অংশ পুরোপুরি ধসে গিয়ে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। এছাড়াও এই এলাকার সারে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
২০০৭ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বরগুনা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে তালতলী উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি জানমালের ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ ফিরোজ ও রমজান আলী বলেন, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর আগেও কয়েকবার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি ঢুকলে সব ধরনের ফসল ও গাছ মারা যায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। তখন গরু-ছাগলসহ পশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। বাঁধ ঠিক হলে আবার ঘর ঠিক করে বসবাস শুরু করি। একটু গুছিয়ে উঠতেই দেখা যায় আবার বাঁধ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় আবারও বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলে নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সার্ভে করতে পাঠিয়েছি। সার্ভে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin