মোঃ কামাল উদ্দীন, জেলা ক্রাইম রিপোর্টার:
যশোরের শার্শা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন করিয়ে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ শার্শার রাজাপুর বাওড় মৎসজিবী সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে গত ৩১.০৫.২০২৩ তারিখে। সমিতির আইন কানুন মেনেই নির্বাচন পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মনিরামপুর থেকে শাস্তিমুলক বদলী প্রাপ্ত রাজাপুর বাওড় মৎস্যজিবী সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন কমিটির সভাপতি ও সহকারী পরিদর্শক মোজাফ্ফর হোসেনের মাধ্যমে মোননয়ন পত্র জমাদানের দিন সমবায় কর্মকর্তার সাথে চুক্তি বাবদ সমিতির সদস্যরা- ২৬ হাজার নগদ টাকা পরিশোধ করেন। নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষনার পূর্বেই অবশিষ্ট পাওনা ৪ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা প্রদান করেন মোজাফ্ফর হোসেনের নিকট। ৯ জন ব্যাবস্থাপনা কমিটির মধ্যে সাধারন সম্পাদক পদে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ভোট পেয়ে সাধারন সম্পাদক পদে জাইবুল হোসেন বিজয় হয়, তার প্রতিক ছিলো মোরগ। নিকট তম প্রতিদন্দি প্রার্থী সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক তোতা (আনারস) ২৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। বিনা প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিতরা হলেন আশানুর রহমান সভাপতি, খলিলুর রহমান সহসভাপতি, আকরাম আলী, শ্রী অরবিন্দ বিশ্বাস, ইউনুচ মোল্ল্যা, মোশারফ হোসেন, আব্দুর রহমান ও রবিউল হোসেন। সাধারন সম্পাদকের একটি পদে নির্বাচন করিয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এবিএম আক্কাস আলী ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি ও সহকারী পরিদর্শক মোজাফ্ফার হোসেন ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় নিশ্চিত করে নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা করেন। অভিযোগের বিষয়টি সমবায় কর্মকর্তার নিকট এক স্বাক্ষাতকারে জানতে চাইলে উৎকোচ আদায়ের বিষয়টি অশি^কার করেন। এবং বলেন নির্বাচনে কিছু খরচ আছে সেটা সমিতির রেজুলেশনের মাধ্যমে খরচ করা হয়। এব্যাপারে জেলা সমবায় কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক এক স্বাক্ষাতকারে বলেন কোন সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের বিষয়ে চুক্তি করে অর্থ আদায় এটা সম্পূর্ণ গর্হিত কাজ বিষটি তদন্ত করে আইন গত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।