নিজস্ব প্রতিনিধীঃ প্রায় নয়শত বছরের প্রাচীন দরবার শরীফ হযরত শাহ্ মিসকিন রহমতুল্লাহি আলাইহির দরবারকে ঘিরে চলছে সংস্কার উন্নয়ন ও ইতিহাস জানার এবং স্বচ্ছ-সংস্কৃতির উদ্ভাবনীর অগ্রযাত্রা।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার মশাখালী ইউনিয়নের মুখি গ্রামে প্রায় নয়শত বছর পূর্বে ইসলাম প্রচার করতে এসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন
হযরত শাহ জয়নাল আবেদীন( মিসকিন) শাহ রহঃর উফাতের পর থেকে যেন এক অজানা গন্তব্যের দিকে বইতে চলেছিল সুতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত মূখী গ্রামে মাজারটি।
এই মাজারটিকে ঘিরে অজানা তথ্য অজানা গল্প যেন অজানার দিকেই ইঙ্গিত দিতে দিতে প্রায় নয় শত বৎসর কেটে গেল হযরত শাহ মিসকিন রাহঃ নেই কোন উত্তর শুরীর ঠিকানা, নেই কোন বংশীয় আভাস, একটাই আভাস আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে হযরত দ্বীন প্রচারের লক্ষে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দিকে মানুষকে ধাবিত করতেন এবং আখেরাতের দিকে কামিয়াব হতে পারেন, নবীর সহি উম্মত হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এমন চিন্তাধারা এবং ওয়ারিসাতুল আম্বিয়ার দায়িত্ব মনে করে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন ইসলামের কাজে।
নদীর তীরে এই রঙিন মাটিকে সোনালি মাটি করে চির নিদ্রায় শুয়ে ধন্য করেছেন এই গফরগাঁওয়ের মাটিকে। বাংলাদেশের দূরদূরান্ত থেকে হাজারো হাজারো ভক্ত, আশেক, পাগল ,উম্মতেরা এখানে এসে জিয়ারত করেন এবং মাজারের পার্শ্বেই উচু গম্বুজের একটি সুন্দর মসজিদে সেজদা দিয়ে মহান রবের কাছে প্রার্থনা করেন সুফি সাদেক, সাধক আল্লাহ ওয়ালা নবীওয়ালাকে আল্লাহ পাক জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং নিজেকে উম্মতী মোহাম্মদী হিসেবে কবুল করেন।
এভাবেই মোনাজাত করে চলে যান, কিন্তু আগত মেহমানদের জন্য নেই কোন বিশ্রামাগার নেই কোন আতিথেয়তা নেই কোন খেদমত দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা। এই সূর্য সন্তানের দরবারে আগত মেহমান এসে যেন কোন প্রকার কষ্ট করতে না হয় সেই চিন্তাকে মাথায় রেখে উক্ত মাজারে উন্নয়নের স্বার্থে গতি নিশি পীর শাহ ফাহাদ ফকির কে আহ্বায়ক ,আব্দুল লতিফ তালুকদার কে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ও মোঃ ফারুক শেখ কে যুগ্ন আহবায়ক করে একুশ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে কমিটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় কমিটি হস্তান্তর করেন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোঃ বারেক পালোয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সলিম ইল্লাহ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান বাচ্চু।
বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক দের সাথে নিয়ে প্রধান আহ্ববায়ক গদীনিশি মাজারের খাদেম শাহ ফাহাদ ফকিরের হাতে কমিটি তুলে দেন। কমিটি হাতে পেয়ে গদি নিশি ফাহাত ফকির হাস্যজ্জল চেহারায় সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলেন আমি ধন্যবাদ জানাই যে সংগঠন কে প্রায় নয়শত বছরের একটি অলির দরবারের খেদমতে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন এসে দাঁড়িয়েছে আশা করি এই সংগঠনের দ্বারা ভালো সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক আমাদেরকে উপহার দিবেন। আল্লাহ অলির দরবারে যেন কোন প্রকার অসামাজিক রাজনৈতিক অপ্রীতিকর কোন প্রকার কর্ম কাণ্ড না হয় সেদিকে যথেষ্ট নজরদারি করবেন এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত মেহমান গণ যেন কষ্ট না পেতে হয় সেদিকে নজর রাখবেন এবং সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক মানুষের মাঝে উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা করি।এই সংগঠনের সার্বিক কল্যাণ কামনা করি এবং যারা এই মাজারের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ সময় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্নজনেরা উন্নয়নমূলক কাজকর্মের আশ্বাস দেন এবং প্রাথমিকভাবে মাজারের মূল ফটকে ভালো দুটি গেট করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি বাজেট পেশ করেন এবং মাজারে খুব দ্রুতই পাবলিক টয়লেট, সাওনি ঘর সহ রাস্তাঘাটের দ্রুত উন্নয়নের আশ্বাস প্রদান করেন। পরিশেষে মোনাজাত করে উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করেন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ রমজান আলী বলেন আমি সর্বাঅবস্থায় এই কমিটির সাথে আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।