অনলাইন ডেস্ক:
উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। কাজে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে শীতজনিত রোগে ভীড় বাড়ছে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলোতে।
ঘনকুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। খেটে খাওয়া ছিন্নমুল ও তিস্তা-ধরলা নদীপাড়ের চরের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। ঠাণ্ডার কারণে রাস্তায় কমেছে পথচারী। যাত্রীর অভাবে রিক্সা ও ইজিবাইক চালকদের কমেছে আয়। কৃষি শ্রমিকরাও বেশিক্ষণ মাঠে কাজ করতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে ঘনকুয়াশা, কিছুই দেখতে পারছিনা। কোন জায়গায় যেতে পারছিনা। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। জীর জীরে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, তাতে গবাদি পশু ও ফসলের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। রংপুরে দুদিন ধরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। রাজশাহীতে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। আর তীব্র শীতের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপে অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। কর্তব্যরতরা বলছেন, রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।তবে শীতকালীন এসব রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, “এই ধরনের রোগ এই সময়ে বাড়ে আমরা জানি। তাই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, যদি আরও বাড়ে তাতে কোনো অসুবিধা হবে না।”
নাটোরে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের। শীত জনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। অভিভাবকরা জানান, প্রথমে ঠাণ্ডা থেকে কাঁশি, পরে নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে।