শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০২:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের রোষানলে যশোর -৪ কেরুতে অস্থিরতা: আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ডা. লিপিকা ভদ্র বহাল, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে সৃষ্ট উত্তেজনার অভিযোগ প্রায়১৭লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও এরশাদ আলী কুষ্টিয়ায় করোনা নিয়ে ভয় বাড়ছে, একমাত্র পিসিআর ল্যাবটির সব যন্ত্রাংশ চুরি ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন এর গণ সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী গন সমাবেশে পরিনত কু‌ষ্টিয়ায় যুবককে গু‌লি করে হত্যা, অস্ত্র ও গু‌লি জব্দ ভারতে নিহত সাবেক এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি মিলল কুষ্টিয়ায় ভাঙ্গায় ডাকাত সর্দারসহ দুই ডাকাত আটকঃমালামাল উদ্ধার ভাঙ্গায় মুখোমুখি সংঘর্ষ”পিতা-পুত্রসহ নিহত ৫-আহত,৫ আমাকে সমাজচ্যুত করার গভীর চক্রান্ত চলছে”সালমা খাতুন
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

শুকরিয়া, গ্রেনেড-বোমা-গুলির মুখোমুখি হয়েও বেঁচেও আছি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধন্যবাদ আমার দেশবাসীকে, তারা যদি বার বার ভোট না দিতো, আর আমাকে সেবা করার সুযোগ না দিতো আমি তো আসতে পারতাম না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, গ্রেনেড-বোমা-গুলি সব কিছু মুখোমুখি হয়েও আমি বেঁচেও আছি এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজোল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এ রেজোল্যুশনটি কো-স্পন্সর করে।

রেজোল্যুশনটির শিরোনাম ছিল- ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।  প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত এ রেজোল্যুশন কো-স্পন্সর করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা সকলের সঙ্গে শেয়ার করবো। অনেক দেশ এভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারেনি তাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা নিতে আসে সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে দোরগোড়ায় ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করে দিলো। তাদের বন্ধ করার যুক্তি হলো, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ যদি চিকিৎসা সেবা নেয় তাহলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে। তাদের কেউ ভোট দেবে না এজন্য বন্ধ করে দিলো। আমার খুব কষ্ট লাগলো, আমরা যে ক্লিনিক করলাম সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসা নেবে না। জনগণ সেবা পাবে। সাধারণ মানুষ সেবা পাবে। ওইসব এলাকায় অন্য দলের সমর্থক আছে না? তাহলে বন্ধ কেন করলো?

এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১১ হাজার ঘর করেছিলাম। তার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে দিলাম। চালু করার ১ বছর পর আমরা একটা সার্ভে করলাম। যে এটা যে করে দিলাম রেজাল্ট কি আসে। মানুষ কতোটুকু লাভবান হয়। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকে এগিয়ে এলো। এক বছর পর আমরা একটা জরিপ করলাম। তাতে দেখা গেলো ৭০ শতাংশের ওপর এর সাফল্য। আমরা আরো উৎসাহিত হলাম যে ৪ হাজার চালুর পর, ১১ হাজার চালু করে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করার সাথে সাথে আমাদের পাঁচ বছর সময় শেষ।

ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সে জন্য ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে এটিকে একটি ট্রাস্টের আওতায় দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin