বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নারকীয় হামলাঃবাড়িঘর ভাংচুর-লুপাট-আহত -১ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেম্বারগণ চেয়ারম্যান সিলেক্ট করবেন শিশু হত্যাকারীকে গণপিটুনি দিল উত্তেজিত জনতা  সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখা এক জয়িতার সংগ্রামী জীবনের কথা ভাঙ্গায় বালু কে কেন্দ্র করে হামলাঃফাকাঁ গুলি, বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী আহত কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক, প্রাণঘাতী অস্ত্র না ব্যবহারের আশ্বাস নান্দাইল ১১ ডিসেম্বর “নান্দাইল মুক্ত দিবস” পালিত নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সাংবাদিকদের সাথে লটারির মাধ্যমে দেয়া হয়েছে গফরগাঁওয়ে অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ গফরগাঁওয়ে এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দুম্বার মাংস বিতরন
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

সংবিধান সংস্কারে নাগরিকদের মতামত জানতে চালু হচ্ছে ওয়েবসাইট

Reporter Name / ২১ Time View
Update : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

নিজস্ব  প্রতিবেদক: সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সাধারণ নাগরিকদের মতামত ও প্রস্তাবনা জানতে একটি ওয়েবসাইট চালু করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এই ওয়েবসাইট কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।রবিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবিধান সংস্কার কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।

পাশাপাশি কমিশন সাধারণ নাগরিকদের মতামত ও প্রস্তাব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে এই ওয়েবসাইট কার্যকর হবে, প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেই ঠিকানা জানানো হবে। বিষয়টি ব্যাপক প্রচারের জন্য গণমাধ্যমগুলোর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধও করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলন চলাকালে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর সেটা বর্তমান সরকারই কার্যকর করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশন সদস্য মাহফুজ আলম বলেন, ‘এক দফার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পুরনো পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে।আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই। আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানেই নতুন সংবিধান। সেটা কিন্তু এক দফার ঘোষণাতেই স্পষ্ট হয়েগেছে। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বলবো, নতুন সংবিধান বর্তমান সরকার অবশ্যই অবশ্যই কার্যকর করবে। এর আগে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করব লিখিত মতামত এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর জন্যসরকার বিভিন্ন কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। তাই কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না। কিন্তু তাদের দেওয়া প্রতিটি লিখিত প্রস্তাব ও মতামত কমিশন নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করবে এবং কমিশনের সুপারিশে তার যথাসাধ্য প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট থাকবে।’

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সিভিল সোসাইটির সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি, তরুণ চিন্তাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। তাদের কাছে থেকে লিখিত প্রস্তাব আহ্বান করবে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। বর্তমান সংবিধান পর্যালোচনাসহ জনআকাঙ্খার প্রতিফলনের লক্ষ্যে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্লিখন করা হবে বলে জানান আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি, সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা দল জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সক্রিয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থেকেছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নকে সমর্থন করেছে, ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমকে বৈধতাদানে সাহায্য করেছে, কমিশন সেইসব ব্যক্তি, সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশ তৈরিতে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই। জনআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থাণ না হলে এই কমিশন হতো না।তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানে থাকুক বা না থাকুক, নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে। এর বাইরে গিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না। আমি মনে করি, চব্বিশের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা শুধু জরুরিই নয়, অনিবার্যও বটে।’

সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক সংস্কারের ৭টি উদ্দেশ্যের কথা জানানো হয়। বলা হয়, দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা; ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো; রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ছাড়াও ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ; রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য; রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন; রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin