মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম হলুদের গালিচার দৃশ্য এখন কুষ্টিয়ার মাঠে মাঠে। আর এই অপরুপ সৌন্দর্যের মাঝে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য মধুচাষি বা মৌয়ালরা মধুর বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সুস্বাদু ও নির্ভেজাল সরিষা ফুলের খাঁটি মধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। কুষ্টিয়ার এবছর সরিষার চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গতবছরের চেয়ে ২ হাজার ৪৯৮ হেক্টর বেশি। এখন মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারোহ। আর এ সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে মামুন অর রশিদ ওরফে মধু মামুনসহ অন্যান্য মধুচাষি বা মৌয়ালরা সরিষা ক্ষেতে বসিয়েছেন মৌবাক্স। মৌমাছির দল সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে ভরে তুলছে মৌবাক্স। এভাবে সংগ্রহ করা মধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে অস্ট্রেলিয়া, স্পেন ও কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে তারা হয়েছেন স্বাবলম্বী।
কুষ্টিয়ার মিরপুরের মধুচাষি মামুন অর রশিদ ওরফে মধু মামুনের খ্যাতি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে। তিনি মধু চাষে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি চাষিদের সরিষা চাষেও উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। ফলে জেলার মিরপুরে প্রতিবছরই বাড়ছে সরিষার আবাদ। মধু মামুনের সাফল্য দেখে অন্যেরাও মধু চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তারাও সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছে মধুচাষী মামুন অর রশিদ। সরিষা ক্ষেতে মৌচাষের ফলে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে চাষিরা কম খরচে মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের ব্যবধানে অধিক লাভবান হচ্ছেন। তাই প্রতিবছরই বাড়ছে সরিষার চাষ। এমন কথা জানিয়েছেন আকবর আলী নামে এক কৃষক। আবার মৌ খামার থেকে সংগ্রহ করা সুস্বাদু মধুর খ্যাতি এলাকাতেও ছড়িয়েছে। তাই প্রতিদিনই নির্ভেজাল ও খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে অসংখ্য ক্রেতা ছুটে আসছেন মধু মামুনের মৌ খামারে।