নিজস্ব প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার যশরা ইউনিয়নে দৌলতপুর গ্রামের প্রবাসী জীবনের পরিবারের উপর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করে যাচ্ছে মাহবুব,বেছু গং রা। ভুক্তভোগী জানায় প্রবাসী জীবন সে এক ভাই ৪ বোন,বৃদ্ধ পিতা মাতা নিয়ে তারা বাড়িতে বসবাস করে আসছে। জীবনের চার বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এবং গত রমজান মাসে জীবনের পিতা মারা যাওয়ায় জীবনের স্ত্রী এবং মা একা থাকেন বাড়িতে এই সুযোগে বেছু গং রা বিভিন্নভাবে অত্যাচার শুরু করে এবং বিভিন্ন কায়দা টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে প্রবাসী জীবনের স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে এবং অকথ্য ভাষায়য় গালাগালিজ করে এবং ঘরের মধ্যে সবাইকে আটকে রাখে যা ছবিতে দৃশ্যমান। ভুক্তভোগী জীবনের পরিবার থানায় অভিযোগ করার কারণে তাদের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি করার জন্য থানার আশ্রয় নেয় বলে জীবনের পরিবার জানান।
জীবন মুঠো ফোনে বলেন দীর্ঘদিন যাবত বাবা অসুস্থ থাকায় এবং আমি প্রবাসে থাকায় প্রতিবেশী মাহবুব গং তাদের জমা জমি,গাছ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় জোর দখল করে নিয়ে যেত এ নিয়ে মাঝে মাঝে তর্ক-বিতর্ক হতো এবং একপর্যায়ে মাহবুব গং পরিকল্পিতভাবে অতর্কিতভাবেআমার বাড়িতে হামলা করে এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে ঘরে তালা দিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে দেয় এবং চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে আইনের আশ্রয় নিলে জীবনে শেষ করে দিবে। জীবনের পরিবার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন যেদিন আমার পিতাকে ঘরে রেখে তালা আটকে দেয় সে দিনই আমার পিতা স্টোক করেছে এবং গত রমজান মাসের শেষ দিকে চিকিৎসারত অবস্থা আমার পিতা মারা যান।এই কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে আমার পিতা দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হল।আমরা এই কষ্ট সহ্য করার ১৫ দিন যেতে না যেতেই মাহবুব গং রা আবার আমাদের বাড়িতে হামলা করে এবং আমার পিতার সম্পত্তি দখল করার জন্য বিভিন্ন গাছপালা মাটি কেটে নিয়ে যায় এবং জমিনে খুটা গেড়ে বলে দেয় এবং টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার পরিবার বারংবার বলে আসছে দলিলে যদি তোমাদের জমি পাওনা থাকে তাহলে নিয়ে যাবে নতুবা জোরপূর্বক ভাবে দখল করতে গেলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। আইনের কথা বলাতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষা গালাগালি এবং আমার পরিবারের উপরে মারপিট করে। জীবনের স্ত্রী হাসিনা আক্তার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন আমি ও আমার শাশুড়িকে নিয়ে বাচ্চা সহ আমাদেরকে আমাদের ঘরে ঢুকে আমাকে বিভিন্ন ভঙ্গিমা আমার গায়ে আঘাত করে এবং কুরুচী পূর্ণ কথাবার্তা বলে আমাদেরকে রুমে রেখে বাহির দিয়ে আটকে দেয়। আমাদের আত্মা চিৎকারের পর প্রতিবেশী দরজা খুলে দেয়। হাসিনা এবং তার শাশুড়ি বলেন আমরা বড়ই অসহায় অবস্থায় আছি বাহিরে বাহির হইতে পারছিনা ওদের ভয়ে। জীবনের মা আরো বলেন বাবারে ওদের ভয়ে আমার মেয়ের জামাতারাও আসতে পারছে না আমি কার কাছে যাব কি করব ভেবেও পাচ্ছিনা সরকারের কাছে সঠিক বিচার দাবি জানাই। গত ০৭/১১/২৪ ইং তারিখ আমাদের বাড়িতে আবার হামলা করলে পর দিন আমরা গফরগাঁও থানা এবং গফরগাঁও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করি। এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত নিরাপদ অনুভব করতে পারছি না।