বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য-কানাডা-ফ্রান্সের

Reporter Name / ২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৭:০৯ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি গাজায় সামরিক অভিযানের ‘ভয়াবহ’ সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকে তাহলে তারা ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেবে।যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ফ্রান্স এবং কানাডা সরকারের উদ্যোগে যোগ দিয়ে ইসরায়েলি সরকারকে ‘তার সামরিক অভিযান বন্ধ’ করার এবং ‘অবিলম্বে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, তিন নেতা গাজা যুদ্ধে হামাসের জন্য ‘বিশাল পুরষ্কার’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।২ মার্চ থেকে গাজায় কোনো খাদ্য, জ্বালানি বা ওষুধ প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল। জাতিসংঘ ইসরায়েলের  এমন পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ‘বিপর্যয়কর ক্ষতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।রবিবার (১৮ মে) নেতানিয়াহু জানান, ১১ সপ্তাহের দীর্ঘ অবরোধের পর তার দেশ ‘মৌলিক পরিমাণে খাদ্য’ গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেবে। তবে ইসরায়েল ‘পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিন পশ্চিমা নেতা গাজায় ‘অপর্যাপ্ত পরিমাণ’ খাবার প্রবেশে ইসরায়েলি ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানে অস্বীকৃতি ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

তারা আরো বলেছেন, গাজায় দুর্ভোগের মাত্রা ‘অসহনীয়’। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ প্রধান টম ফ্লেচারের মতে, “গাজায় প্রবেশের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত ত্রাণ ট্রাকের সংখ্যা ‘জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় সমুদ্রে এক ফোঁটা’।যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি হামাসকে বাকি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার প্রতিক্রিয়ায়। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি হয়েছিল।

গাজায় প্রায় ৫৮ জন জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডার যৌথ বিবৃতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান’ বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রস্তাব করে।

নেতানিয়াহু এই পরামর্শের সমালোচনা করে বলেছেন, “হামাস সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করার আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ বন্ধ করতে বলার মাধ্যমে এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবি করে, লন্ডন, অটোয়া এবং প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর গণহত্যার হামলার জন্য একটি বিশাল পুরষ্কার দিচ্ছেন এবং আরো নৃশংসতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ‘সকল ইউরোপীয় নেতাদের’ প্রতি গাজা সংঘাতের অবসানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি’ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin