এবি সিদ্দিকুর রহমান — শুধু একটি নাম নয়, এটি এক বিশ্বাসের প্রতীক, এক প্রেরণার উৎস। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে তিনি দেখিয়েছেন সাফল্যের দীপ্ত ছাপ। ব্যবসায় হোক বা রাজনীতি— সর্বত্রই তিনি প্রমাণ করেছেন দূরদৃষ্টি, অধ্যবসায় এবং নিরলস পরিশ্রমের মহিমা।
ব্যবসায়িক জীবনে সফলতার স্বাক্ষর:
তিনি শুধু একজন উদ্যোক্তা নন; তিনি একজন কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী, সমাজ উন্নয়নের অক্লান্ত সৈনিক। গফরগাঁও থানার একমাত্র সিআইপি হিসেবে তিনি যে সম্মান অর্জন করেছেন, তা শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত গৌরব নয়, পুরো ময়মনসিংহ জেলার গর্ব। তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অসংখ্য মানুষ জীবনের নতুন দিশা পেয়েছে। তিনি কখনো প্রচারের আলোয় নিজেকে তুলে ধরতে চাননি; বরং নীরবে, সৎভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।
রাজনীতিতে সাহস ও ত্যাগের প্রতীক:
রাজনৈতিক জীবনে এবি সিদ্দিকুর রহমান একজন নির্ভীক, ত্যাগী এবং দূরদর্শী নেতা। অন্যায় ও নিপীড়নের মুখেও তিনি সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হননি। ২০০৮ সালের পর আওয়ামী সরকারের নানা নির্যাতন, হামলা ও মিথ্যা মামলার মুখেও তিনি ছিলেন অটল।
গফরগাঁওয়ের এক কর্মসূচিতে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতে তিনি রক্তাক্ত হয়েছিলেন— তবুও পিছু হটেননি। সেই রক্তাক্ত মুহূর্ত আজও এলাকার মানুষের স্মৃতিতে অম্লান।
বয়সের ভার উপেক্ষা করে তিনি আজও রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে রাজপথে দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন, সহযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ান, আদালতের বারান্দায় লড়ে এসেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
ত্যাগের মহিমা:
তার ত্যাগ শুধু শারীরিক ও মানসিক নয়, আর্থিকও বটে। যেখানে অনেকে বৃদ্ধ বয়সে আরাম-আয়েশে জীবন কাটাতে চান, সেখানে এবি সিদ্দিকুর রহমান তার কষ্টার্জিত সম্পদ ব্যয় করেছেন দলের কর্মীদের জন্য, মানুষের কল্যাণে।
রাজনীতির প্রতি তার এই ভালোবাসা নিঃস্বার্থ— এবং এ কারণেই তিনি লাখো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
জনপ্রিয়তার শিখরে:
গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির আনন্দ মিছিলের দিনে আমরা দেখেছি— কীভাবে হাজারো মানুষ তার এক ডাকে সমবেত হয়েছিল। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের (ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির) সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি নিজের কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন। তার নির্দেশে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ শৃঙ্খলাভাবে ফিরে গিয়েছিল।
সেদিনের স্লোগান— “ভয় করিনা মরনে, সিদ্দিক ভাইয়ের স্বরনে”— গফরগাঁওয়ের আকাশ-বাতাসে যেন বয়ে এনেছিল ভালোবাসার বন্যা। বৃদ্ধ থেকে যুবক— সবার চোখে ছিল শ্রদ্ধা, আবেগ ও বিশ্বাসের দীপ্তি।
নীতিতে অবিচল ও নির্লোভ নেতা:
এবি সিদ্দিকুর রহমান ঘুষ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ঘোর বিরোধী। যারা অন্যায়ে জড়িত, তারা তার সামনে আসতে ভয় পায়— কারণ তিনি সত্যের মুখোমুখি হতে কখনো পিছপা হন না। তিনি কাউকে ছাড় দেননা, অন্যায়কারী যেই হোক না কেন তার তেজদীপ্ত শাসনের ভয়ে কোনো অপরাধী সামনে আসতে সাহস পায়না।তার সততা ও নীতিবোধই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
আগামী দিনের প্রত্যাশা:
গফরগাঁওয়ের মানুষ বিশ্বাস করে— যদি এবি সিদ্দিকুর রহমান আগামী নির্বাচনে “ধানের শীষ” প্রতীক পান, তবে এই আসন বিএনপি পুনরুদ্ধার করতে পারবে। তিনি শুধু দলের নেতা নন, তিনি জনগণের হৃদয়ের প্রতিনিধি।
গফরগাঁওকে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও ভয়হীন এক নিরাপদ ভবিষ্যতের পথে নিয়ে যেতে এমন নেতারই প্রয়োজন।
তাইতো— জালাল উদ্দিন রুমীর একটি উক্তি মনে পড়ছে:
“যে নিজের ভেতরের আগুন জ্বালিয়ে রাখে, সে অন্ধকারে আলো ছড়ায়।”
এবি সিদ্দিকুর রহমান সেই আগুন জ্বালিয়ে রেখেছেন— সত্য, সাহস ও ত্যাগের আগুন। তার আলোয় আলোকিত হোক গফরগাঁও, আলোকিত হোক আমাদের ভবিষ্যৎ।(চলবে)