
সম্পাদকীয় কলাম ,,
যাহাকে নিয়ে লিখা শুরু করা যায় কিন্তু শেষ করা যাবেনা লিখনীতে বসলেই চলে আসবে পিতা মরহুম আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ বনাম গফরগাঁও এর ভালবাসা । আসবে দাদা মরহুম রুস্তম আলী গোলন্দজ এর লিখনী তবে লিখা হবে।
এম পি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল নামাজ ও রোজাদারদের নিয়ে প্রায়ই কোরআন ও হাদিস দিয়ে উৎসাহী করতে বিভিন্ন ভাবে আহবান জানান। যা নিন্মে দেয়া হল,,, রোজা সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের আয়াত
সূরা বাকারাহ’র ১৮৩তম আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ (183)
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পার।” (২: ১৮৩)
রোজা বা সিয়াম সাধনা আল্লাহর অন্যতম বিধান যা শুধু ইসলামের বিধান নয়, পূর্ববর্তী ধর্মগুলোতেও এই বিধান ছিল। রোজা হলো একটি অপ্রকাশ্য ইবাদত। আর নামাজ ও হজ্ব দৃশ্যমান ইবাদত। রোজা অপ্রকাশ্য ইবাদত বলে তা দিয়ে নিজকে জাহির করা বা লোক দেখানোর সম্ভাবনা কম। রোজা মানুষের ইচ্ছাকে শক্তিশালী করে। যারা একমাস ধরে দিনের বেলায় সব ধরনের খাদ্য-দ্রব্য ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে দূরে থাকে, তারা অন্যের ধন-সম্পত্তির ব্যাপারে নিজের লোভ-লালসাকে দমন করতে সক্ষমতা লাভ করে। রোজা মানুষকে উদার হতে শেখায়। যারা একমাস ধরে ক্ষুধার যন্ত্রণা উপলব্ধি করে তারা ক্ষুধার্তদের কষ্ট বুঝতে পারে এবং তাদের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে ও সহানুভূতিশীল হয়। রোজা গুনাহ বা পাপ বর্জনের পরিবেশ সৃষ্টি করে। বেশীরভাগ পাপ পেটপূজা ও ইন্দ্রিয় পরায়ণতা থেকেই জন্ম নেয়। রোজা এই দুই প্রবৃত্তিকে দমনে রেখে সমাজে দুর্নীতি ও পাপ হ্রাস করে এবং খোদাভীরুতা বা পরহেজগারিতা বাড়ায়।
১৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآَنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ (185)
“পবিত্র রমজান মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য ও অসত্যের পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা রাখে। কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা ভ্রমেণে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তাই চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না। তাই তোমরা রোজা রাখবে অর্থাৎ রোজার সংখ্যা পূরণ করবে এবং নিজেদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা গাইবে ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
অনেক ওলামায়ে কেরাম বলেন এম পি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল যুবকদের জন্য এক দ্বীনীয়াতী আভিবাবক।আমরা এম পি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এর নেক হায়াৎ ও নেক জীবন কামনা করছি ।