ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কোমরপুর গ্রামে মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে মোকলেছুর রহমান, ইমরান হোসেন ও পলাশ নামের ব্যক্তিরা। ওদের
ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলার সাহস পায় না বলে জানান এলাকাবাসীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা জানান রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা থেকে ড্রেজার মেশিন এনে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে
বিক্রি করছে তারা। এলাকাবাসী আরও জানান, এলাকার এক সচিবের নাম ব্যবহার করে এ অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন করার ফলে গ্রামটি যেকোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে
যেতে পারে বলে আংশকা করছে এলাকাবাসী। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কামারখালী
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইরান চৌধুরী ও মধুখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী। ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মতিয়ার রহমান জানান অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নাম ব্যবহার করে মোকলেছুর রহমান, ইমরান হোসেন ও দয়ারামপুরের পলাশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। তবে তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম একজন ভালো লোক। তার নাম ব্যবহার করে ওরা অবৈধ বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে এ বিষয়গুলি তিনি জানানে কি না আমি জানা নেই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মোকলেছুর রহমান আমার চাচাতো ভাই ও ইমরান হোসেন আমার ভাতিজা হয় এবং ওদের সাথে যুক্ত হয়েছে দয়ারামপুরের পলাশ নামে ঐ
ব্যক্তি। এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। ওরা আমার নাম ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করে অবৈধ কর্মকান্ড করছে এ বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা ছিল না। এলাকাবাসী আমাকে ফোন করে অবগত করেছেন। এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী মোকলেছুর রহমান, ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে ওদের দুইজনকে পাওয়া যায়নি, তবে দয়ারামপুরের পলাশের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।