মোঃ জিয়াউর রহমান নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাদ ও সুনাম খ্যাত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে পান’ এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কুষ্টিয়াসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি জেলার পান এখন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। এদিকে কুষ্টিয়ার অন্য সব উপজেলার মতো দৌলতপুরের পানও যাচ্ছে বিদেশে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের তুলনায় বেশি দামে পান বিক্রি করায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক।তবে কৃষকরা বলছে, এ অঞ্চলে একটি পান গবেষণা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হলে পান চাষকে আরো সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তৈরি হবে নতুন উদ্যোক্তা। এতে যেমন বাড়বে নতুন কর্মসংস্থান, আরো বৃদ্ধি পাবে রপ্তানি। সম্ভব হবে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
স্থানীয় পান বাজারের মোঃ সেলিম বলছে প্রতিদিন দৌলতপুর থেকে ৩ থেকে ৪ টন পান রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। প্রতি কেজি পন রপ্তানিকারকদের কাছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।ভৌগোলিক ও উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের চাষিরা অর্থকারী ফসল হিসেবে পান চাষ করেন। অন্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার কৃষক পান চাষে জড়িত। কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পান।তবে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, পান চাষকে আরো সমৃদ্ধ করতে তারা কাজ করছেন।পাশাপাশি সরকারীভাবে এসব পান বাইরে রপ্তানির উদ্যোগও হাতে নিয়েছেন তারা। যা দ্রুত কার্যকর হবে, ফলে আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে এই অঞ্চলে স্থানীয় বাজার থেকে বছরে পানের আয় প্রায় ১২ কোটি টাকা। উপজেলাটিতে পানের চাষ হয় প্রায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে। তবে, বিদেশে পান রপ্তানি সঠিক হিসেব নেই এই অফিসে।