বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ইশরাক হোসেনকে শপথ না করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সম্পদের তথ্য গোপন মামলায় জোবাইদা রহমানের হাইকোর্টে জামিন নির্বাচন পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : প্রেস সচিব কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধান উপদেষ্টা গফরগাঁও উপজেলার আইন – শৃঙ্খলা কমিটির মাসিকসভা,অনুষ্ঠিত ৩১,দফা বাস্তবায়নে গফরগাঁওয়ে লিফলেট বিতরণে অধ্যক্ষ আবুল কাসেম (আরজু) মমতাজ ৪ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ উপর হামলার প্রতিবাদে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

কুষ্টিয়া বাদাম চাষ করে সাফল্যতা ফিরে এনেছে চরবাসী

Reporter Name / ৩১ Time View
Update : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪, ৫:২১ অপরাহ্ন

মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়াঃ
বৈরী আবাহাওয়ার পরও পদ্মার অনাবাদি চরে চিনাবাদাম চাষ করে এবছরও সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের চাষীরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষকরা সোনালী ফসল বাদাম ঘরে তুলে তা বিক্রয় করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। অর্থকারী এ ফসল চাষ করে চরবাসীর আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে। চলতি রবি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৭৫০হেক্টর জমিতে।
একসময় পদ্মা নদীতে জেগে উঠা বালুচর পড়ে থাকতো। যা চরবাসীর কোন কাজেই আসতো না। জেগে উঠা পদ্মার চরে চাষীরা চিনা বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় প্রতি বছরই চাষীদের বাদাম চাষ আগ্রহ বাড়ছে। এবছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষীরা সাফল্য পাচ্ছেন। তবে অতিরিক্ত খরার কারনে সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করতে গিয়ে চাষীদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তারপরও খরচ বাদ দিয়ে চাষীদের লাভের অংক দ্বিগুন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিঘা প্রতি চাষীদের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ।
প্রতিবিঘায় বাদামের ফলন হচ্ছে ৮ মন থেকে ৯ মন। আর বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমন ৪ হাজার টাকা থেকে  ৫ হাজার টাকা দরে। অল্প পরিশ্রমে মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে লাভ বেশী হওয়ায় চাষীরা বাদাম চাষে চরম খুশি। দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাদমচাষী আব্দুল জাব্বার জানান, এবছর চরে বাদাম চাষে খরচ বেড়েছে। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ দিয়ে বাদাম চাষ করতে হয়েছে।
তারপরও বিঘা প্রতি ৮/৯ মন হারে বাদম হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে লাভ হচ্ছে উৎপাদন খরচের প্রায় দ্বিগুন। ক্ষেতে বাদাম ঝরিয়ে শ্রমজীবীদেরও আয় বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষেত থেকে বাদম ঝরিয়ে ৫০০ টাকা  থেকে ৬০০ টাকা আয় হচ্ছে শ্রমিকদের। এমনটি জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সিরাজ মন্ডল।
কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুনজাত সরবরাহ সহ প্রণোদনা ও কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং সবধরণের সহায়তা দেওয়ার ফলে বৈরী আবহাওয়ার পরও বাদাম চাষে চাষীরা এবছরও সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।  চরাঞ্চলে পড়ে থাকা অনাবাদি জমিতে অর্থকারী ফসল বাদাম চাষ সম্প্রসারিত হলে চরবাসীর স্বচ্ছলতা বাড়বে এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin