মোঃ জিয়াউর রহমানঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দখল করে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রতন, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিক আহমেদ, ছাত্রদলের নেতা পারভেজ। তারা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ঘুষ, অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সরকারি এই কার্যালয়টি। উপজেলার সবখানে ঘুষ-দুর্নীতির আখড়াখানা নামে পরিচিতি ছড়িয়েছে। দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। দলিল লেখক সমিতির লোকজন, স্ট্যাম্প ভেণ্ডারের মালিকরা ও স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি চক্রটি রমরমা ঘুষ বাণিজ্য করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। ঘুষের টাকার ভাগ সাব-রেজিস্ট্রার, আওয়ামী লীগের নেতাদের পকেটে চলে যেত।
বিষয়ে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেন ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।