মোঃ জিয়াউর রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মিরপুর,ও ভেড়ামারা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তামাক চাষ হচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত সার কীটনাশক প্রয়োগের ফলে মাটির উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা অন্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক চাষ করছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমির মধ্যে এবার বোরো আবাদ হচ্ছে মাত্র ৩৬ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে। অপর দিকে তামাক কোম্পানিগুলো প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করেছে।
বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা সার-বীজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করে এবং ভালো দামেরও নিশ্চয়তা দেয়। তা ছাড়া টার্গেটের জন্য আলাদাভাবে কার্ড তৈরি করে দেয়। ফলে চাষিরা তামাক চাষে উৎসাহী হয়। মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকার তামাক চাষি মতিয়ার মণ্ডল বলেন, তামাক চাষে উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় আমরা এই আবাদ করে থাকি। বিক্রি শেষে মোটা একটা টাকা পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, এ অঞ্চলের বাস্তবতা বিবেচনা করে বিকল্প ফসল উৎপাদনে সরকারিভাবে সার-বীজ, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রণোদনা হিসেবে দিলে সাড়া পাওয়া যাবে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. আকুল উদ্দিন জানান, তামাক চাষ ও সেবন কিডনি, হার্ট, ফুসফুসসহ মানবদেহের স্পর্শকাতর অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করে। জেলায় এবারও বিপজ্জনক মাত্রায় তামাক আবাদ হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মাজহারুল হক
Email: news.pratidinerbangladesh@gmail.com
ফোনঃ 01752-388928
প্রধান কার্যালয়ঃ লেভেল ১৫/এ, ১২ সোনারতরী টাওয়ার, বাংলামোটর, ঢাকা।
Copyright © 2025 প্রতিদিনের বাংলাদেশ. All rights reserved.