বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গফরগাঁও উপজেলার আইন – শৃঙ্খলা কমিটির মাসিকসভা,অনুষ্ঠিত ৩১,দফা বাস্তবায়নে গফরগাঁওয়ে লিফলেট বিতরণে অধ্যক্ষ আবুল কাসেম (আরজু) মমতাজ ৪ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ উপর হামলার প্রতিবাদে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সিভিল সার্জনরা চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা পিলখানা বিদ্রোহ বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন অবশেষে চেনাব নদীর পানি ছাড়ল ভারত
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

কেশবপুরে জলাবদ্ধতায় ভুগান্তি

Reporter Name / ৭১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩, ১:৫৬ অপরাহ্ন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
কেশবপুর উপজেলার কলাগাছি টু কাটাখালী সড়কের আজির মোড়ে সরকারী কালভাট বন্ধ করে মাছের ঘের করেছে।
হাবিবুর রহমান নামে এক ঘের মালিক। যার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে ৩০ পরিবারে জলাবদ্ধতা দেখা
দিয়েছে। বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। হাস, মুরগী, গরু, ছাগল নিয়ে তারা
মহা বিপদে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর-চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন জলাবদ্ধ পরিবারের ভুক্তভোগি জনগণ।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার
কলাগাছি টু কাটাখালী সড়কের আজির মোড়ে আড়–য়া গ্রামের আব্দুল হামিদ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান এক
বিঘা জমিতে একটি মাছের ঘের নির্মাণ করে। তার ঘের সংলগ্ন একটি সরকারী কালভার্ট রয়েছে। যে কালভার্ট
দিয়ে ঐ এলাকার প্রায় ৩ শত পরিবারের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু ঘের মালিক হাবিবুর রহমান চলতি বর্ষা
মৌসুমে ঐ সরকারী কালভাটটি মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। যে
কারণে কালভার্ট সংলগ্ন আড়–য়া গ্রামের নাহিদ হাসান, রেজাউল করিম, আব্দুল গফুর, সাখাওয়াত বিশ^াস, আব্দুল
ওহাব, আব্দুল মজিদ সরদার, এনামূল বিশ্বাস, আব্দুল গণি, সিরাজুল ইসলামের বাড়ি সহ প্রায় ৩০ টি পরিবার
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবার তাদের হাস, মুরগী, গরু, ছাগল নিয়ে তারা মহা বিপদে পড়েছে।
এব্যাপারে পানিবন্দি রেজাউল করিম জানান, আমাদের ঘরে পানি, রান্না ঘরে পানি, আমাদের রান্না করে খাওয়ার
কোন ব্যাবস্থা নেই। ইউপি সদস্য সেলিম মোল্যা ও ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানকে বারবার জানেলেও
তাঁরা কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
পানিবন্দি সৈয়দ নাহিদ হাসান জানান, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অবিলম্বে
সরকারী কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। পানিবন্দি বৃদ্ধ
ইউনুস আলী মোল্যা জানান, এখন যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তবে তাকে মাটি দেওয়ারও জয়গা নেই। তিনি
অবিলম্বে সরকারী কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin