চীফরিপোটারঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলাতে পালটি পাড়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপারকে মেনেস করে ভূয়া সনদে চাকরি করছেন কয়েকজন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিদিনের বাংলাদে র একটি দল গফরগাঁও উপজেলা শাখার কো-অর্ডিনেটর মোঃ ছলিম উল্লাহর কাছে গেলে এমন তথ্য দেন অর্ডিনেটর মোঃ ছলিম উল্লাহ্। তাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার টিম অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসলো গফরগাঁও উপজেলার শিক্ষা খাতের দুর্নীতির ভয়ানক ক্ষেত্র যা শুনলে বা বাস্তবতা দেখলে যে কারো শিউরে উঠবে। তিনি অনলাইন প্রতিদিনের বাংলাদেশ কে বলেন আমি শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটিতে অনুমোদন পাওয়ার পর শিক্ষাঅঙ্গনে যাই তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং কয়েকজন শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হইলে তাহারা বলে এ ব্যাপারে আমরা জানিনা কোন তথ্য পাইলে আমরা খতিয়ে দেখব। আসলে কর্তৃপক্ষ যেভাবে কথা বলে এড়িয়ে যা তাদের কথা শুনলে মনে হয় তাদের ভিতরেও অনেক ধরনের ভয়ে কাজ করছে আর কাজ তো করবেই প্রত্যেকটা শিক্ষক এর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত। এই টাকাটা ছোট অফিস থেকে বড় অফিসের কর্মকর্তাদের পকেটে যায়,যার জন্য প্রত্যেকবারই বিবেচনা করব,দেখব এরকম তালবাহানা করে বদলি হয়ে যান। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সহিত বলতে চাই যে,যে জায়গাযর উপযুক্ত তাকে সেই জায়গাতেই বিবেচনা করা হবে এমনটি আমাদের শিক্ষা সোসাইটির আকাঙ্ক্ষা। আমি আশা করি আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি এই সঠিক সত্য তথ্য তুলে ধরবে এবং বাংলাদেশ সরকার এই অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে কঠিন ব্যবস্থা নিয়ে দেশের শিক্ষা খাতের অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এরকম অল্প শিক্ষিত দিয়ে ঘুষ রাজ্যের সিংহাসনে বসে ভাল নৈতিকতার কোন শিক্ষা দিতে পারবে না এটাই আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আমার দায়িত্ব থেকে দেশ ও জাতির কাছে সঠিক তথ্য তুলে দিব ইনশাআল্লাহ। নিম্নে কিছু তথ্য দেওয়া হইলো। অনুসন্ধানে জানতে পারি পালটি পাড়া দাখিল মাদ্রাসা মোছাঃ জান্নাতুন ইনডেক্স নং MOO37263 ( ২) SATU KHATUN ইনডেক্স নং MOO60620 এই দুইজন শিক্ষিকা জাল সনদ এনটিআরসি নিবন্ধন ভুয়া প্রমাণিত হয়। এবং দিঘা-ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা অনুসন্ধান করে জানতে পারি মোঃ আশরাফুল ইসলাম ইনডেক্স নং MOO52928 ( ২) আকলিমা ইনডেক্স নং MOO54902 (৩) শরিফা আক্তার ইন্ডেক্স নং MOO54404 (৪) নজরুল ইসলাম ইনডেক্স নং MOO53827 (৫) মোঃ আব্দুল্লাহ মীর ইনডেক্সনং MOO52929 এই পাঁচ জনের জাল সনদ এনটিআরসি নিবন্ধন ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। উক্ত মাদ্রাসার সুপার সাইফুল ইসলাম দাখিল পাস সার্টিফিকেট এর ধারক রেখা আক্তার এর কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে দীঘা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা এমপিও ভুক্ত ফাইলে নাম নিবন্ধন দেখিয়ে ঘুরাচ্ছে বেতন হবে হচ্ছে না এই হল দীঘা মাদ্রাসার সুপারের কার্যকলাপ। কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়য়ে তামান্না রহমান শান্তা ইনডেক্স নং 1129873 (২) কুলসুম আক্তার এই দুই সনদ জাল নিবন্ধন ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে । বারবার সময় নিয়ে দেখাতে পারে নাই। তাহলে দাখিল মাদ্রাসা ও স্কুল সহ মোট ৯ জন জাল সনদে চাকরি করছে আমি নিবন্ধনের এডমিট কার্ড চাইলে আমাকে দেখাতে পারে নাই। এবং সনদের ফটোকপি চাইলে বারবার সময় নিয়েও দেখাতে পারে নাই। অন্যলোক মারফত সুপার এবং স্টাফ আমাকে হাত মিলানোর অফারদিয়েছিল আমি প্রত্যাক্ষাণ করলে তারা বলেছে শিক্ষাঅফিসারে যা করবে করুক। তাই বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এইসব ভুয়া মাস্টারদের ইনডেক্স কর্তন করে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান লাজুক অবস্থায় ভেঙ্গে পডরবে।