নিজস্ব প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা ৬নং রাওনা  ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে দীঘা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত একটা চক্রের মধ্যে নিজেকে আড়াল করে ভুয়া কাগজ পত্র তৈয়ারীর মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্য করে অর্থ আত্মসাৎ করে  কোটিপতি হওয়ার অভিযোগ।

সহকারী সুপার সাইফুল ইসলাম তার মাদ্রাসা সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কয়েকজনকে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছেন। সহকারী সুপার সাইফুল ইসলাম তার শিক্ষকতার জীবনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টিকারী একজন প্রতারক। তার প্রতারণার জালে এবার সে নিজেই ফেসে গেল। বেশি টাকার লোভে তার সঙ্গিদের কয়েকজনকে নিয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে নিয়েছে অগণিত টাকা। তার মাদ্রাসার ব্যক্তিগত ফাইল কোড এর মাধ্যমে রেখা নামে একজন মেয়ের কাছ থেকে সাইফুল ইসলামগংরা অনেক টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়। সাইফুল ইসলাম তার নিজের মাদ্রাসার ফাইলে উক্ত মেয়ের সমস্ত কাগজপত্র প্রেরণ করেন। বিভিন্ন সূত্র মতে জানা যায়, সহকারি সুপার সাইফুল ইসলামর সাথে অন্য মাদ্রাসার সুপারগংরা আছে এই অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যে।

তার কাছে জানতে চাইলে রেখা আক্তার নামে যে মেয়েটির ফাইল দেয়া হয়েছে আর বাসা বা বাড়ি কোথায় জবাবে সহকারী সুপার লিখিত দিয়ে বলেন এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রেখা কিভাবে এখানে ঢুকলো আমি জানিনা আমি এর সঠিক বিচার চাই। নাম না বলা শর্তে দীঘা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটিকে বলেন, আমরা তাহার কাছে জিম্মি সে অজস্র টাকা কামিয়েছে আমরা কিছু বলতে পারিনি। সর্বোপরি উক্ত মাদ্রাসার সকল শিক্ষক শিক্ষিকা এই অন্যায়কারীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখতে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এমন প্রত্যাশা করছি। উক্ত মাদ্রাসার ও শিক্ষক নিয়োগে অনেক কাগজপত্রাদির ঘাটতি রয়েছে এবং জাল সনদে কার্যক্রম চলছে।