
মো. হমায়ুন কবির,গৌরীপুর
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গণপরিষদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষা সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বুধবার বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা কবরাস্থানে মরহুমের কবর জিয়াতর শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নিলুফার আন্জুম পপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোমনাথ সাহা,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদ,সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহাম্মেদ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রহিম,আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ভিপি আব্দুল আউয়াল প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মরহুমের বড় ছেলে পৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হারুণ উর রশিদ।
উল্লেখ্য আওয়ামী লীগের এক সময়ের বর্ষীয়ান নেতা মরহুম হাতেম আলী মিয়া ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে ঘনষ্ঠি রাজনতৈকি সহচর। তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৭৭২ সনে গণপরিষদ সদস্য হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া তিনি ছিলেন একজন সাংবাদিক ও লেখক। তার লেখা অপ্রকাশিত গ্রন্থ ‘মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু’।
গৌরীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান- ১৯৭১ এর ৪ র্মাচ স্থানীয় শহীদ হারুন র্পাক ময়দানে এক জনসভায় হাতেম আলী মিয়া সহকর্মীদের নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্তানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথম উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। ভাষা আন্দোলন, গণঅভুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আন্দোলনে জড়িত থাকার কারনে তিনি একাধিকবার কারাবরণও করেন। হাতেম আলীর মিয়া বহুগুণের অধিকারী ছিলেন।