ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামে ঢাকায় মর্মান্তিকভাবে গুলিতে নিহত শিশু তামিমের পরিবারে চলছে শুধুই আহাজারি। ওই গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সাচালক জুয়েল শিকদারের একমাত্র পুত্র সন্তান তামিম শিকদার(১০)কে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ সমস্ত ও এলাকাবাসী। তাদের একটাই প্রশ্ন তামিমতো কোন আন্দোলনে যায়নি। তাহলে কেন তাকে মরতে হলো?
জানা যায়, রাজধানীর রামপুরা প্রাইমারি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্র তামিম শিকদার (১০) বন্ধুদের সাথে বল খেলতে গিয়েছিল ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে। ওইদিন রামপুরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশুটি। হতদরিদ্র রিকশাচালক বাবা একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোক বইছেন বুকে। মা-বাবা সহ পুরো পরিবারে বইছে শোকের মাতম। ওইদিন সহপাঠীদের সামনেই বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশু তামিম। হাসপাতাল থেকে লাশ পেলেও টাকার অভাবে তার লাশ ভাঙ্গার গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করতে পারেননি তারা ওই গ্রামের জুয়েল শিকদার রিক্সা চালিয়ে জীবিকার জন্য ১৫ বছর আগে পরিবার নিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে রামপুরা এলাকায় বসবাস করেন। অভাব-অনটনের মধ্যে রিকশা চালিয়ে তিনি সংসার চলাতেন। নিজের বলতে জায়গা-জমি ঘর-দরজা কিছুই না থাকায়রগ্রামের বাড়ি খাপুরা গ্রামে মাঝে মধ্যে এসে অন্যের ঘরে থাকতেন।