তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: তারাকান্দায় “শেখ মুজিব” কলেজের অধ্যক্ষ ও আ: লীগ নেতা জামাল উদ্দিন নাশকতা মামলার ১৫ নম্বর অসামী হয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে অনেক দিন যাবৎ লাপত্তা রয়েছে। জানা গেছে,উপজেলার গালাগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত শেখ মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন সাম্প্রতিক সময়ে একটি হত্যার ঘটনা কেন্দ্র করে জনরুশ থেকে পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার হয়। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাওয়ায় ক্ষমতার জোর খাটিয়ে কলেজের পাশে খাস জমি দখল করে গড়ে তুলেন জামালগঞ্জ ও টর্চার সেল নামে একটি ঘর। সেখানে মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করা হতো এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে স্কুল ও কলেজ স্থাপন করে মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্য করেছে। আরেকটি খুনের ঘটনায় এক নম্বর আসামি থাকলেও ক্ষমতার জুড়ে চার্জশিট থেকে নাম কর্তন করেন। তার ছেলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হওয়ায় তার দাপট বেশি ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে খুন হওয়ায় আশপাশে এলাকাবাসী জেগে ওঠে এবং অধ্যক্ষকে আটক করে। পরে পুলিশের সহায়তায় থানায় এসে মুক্তি পায়। স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান জানান, তার ভাইকে রশি দিয়ে বেধে এই রুমে (জামালগঞ্জ ও টর্চার সেল) নিয়ে শারীরিক অত্যাচার করে। জুবায়ের হাসান জানান, তার কাছ থেকে চাকুরির জন্য ৯ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন।
গা ঢাকার পরও কলেজ থেকে বেতন ভাতা তোলার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের বেতন ভাতা বন্ধ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের ককরেছে। তারাকান্দা থানার (নব যোগদান) অফিসার ইনচার্জ টিপু সুলতান জানান,নাশকতার (মোটর সাইকেল অগ্নি সংযোগ) ৩ আগস্টে ঘটনার মামলার একাধিক আসামী গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে ও এজাহার নামীয় বাকী আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।