লিখনিরা লিখবে,পাখিরা গাইবে, বাঁশরী বাজাবে তার গান, আর গফরগাও বাসী খুঁজবে তোমার আদর্শের অনুপ্রাণ।
ছদ্দবেশে গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে চলা এক লেখনীর ক্যামেরাবন্দি হয়েছে এক অসহায়ত্বের চাহনীতে যুবক।কেন যে অসহায় হয়ে হাত ভূলাচ্ছে এবং তার চাহনীর মাধ্যমে আবেগ ঘণ কষ্ট প্রকাশ পাচ্ছিল অঙ্কিত ছবির শ্রদ্ধার মাধ্যমে। হ্যাঁ বলছিলাম গফরগাঁও উপজেলার আদর্শ পরিবারের আদর্শের প্রদীপ জননেতা মরহুম ফজলুর রহমান সুলতান র কথা।
গফরগাঁয়ের মানুষ আবাল বিদ্যা যুবক শিক্ষিত ও অশিক্ষিত শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে যার যার স্নেহ মায়া মমতা মিষ্টি হাসি আর আকাশের মতো ছায়া দিয়ে গফরগাঁও এর মানচিত্র কে উপহার দিয়েছিল এক আদর্শের শো বাতাস। তার মৃত্যুর পর থেকে আজও পর্যন্ত ভূলা যাচ্ছে না তার আদর্শ,নিদর্শন,উপদেশ ও ভালোবাসার কথা।
আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম কোন এক অজানা তথ্যের জন্য ঠিক ওই সময় হঠাৎ পাবলিক থেকে আমার ক্যামেরার মাঝে এবার আনন্দী হয়ে যায় অসংখ্য ফজলুর রহমান সাহেবের অঙ্কিত স্মৃতির মাঝে হাত বুলিয়ে অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে তাহার দিকে তেরে আসছে। আর এই অসহায়ত্বের চাহনি দেখে আমি চলে যাই তাহার কাছে জিজ্ঞেস করি ভাই নাম কি তোমার সেই মৃদু কন্ঠে বলল আমার নাম জাহাঙ্গীর আলম এই গ্রামেই আমি বাস করি খারুয়া মুকুন্দ আমার গ্রাম ছয় নং রাওনা ইউনিয়ন গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা। আমি নয় আমার পূর্বপুরুষ গণ থেকে আমি এই মহামানবের ভালোবাসা কথা শুনে আসছি এবং আমিও এই মহামানবের আদর্শের প্রতি জীবনকে উৎসর্গ করেছি। যদিও মরহুম রাহমানের সাথে বেশি দিন রইতে পারি না। রাজনৈতিক কারণ নয় এই রহমান পরিবারকে অনেক ভালোবাসার কারণে স্বৈরাশাসন কালো কুচকুচি শকুনের নজর যখন আমার উপর বদনজর পরে আমার উপরে। জীবন বাঁচাতে আমাকে বেঁচে থাকতে হবে এমন প্রতিজ্ঞা করে আমি হায়েনারদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে চলে যেতে হয় দূর প্রবাসে। আজ আমি মুক্ত আমি স্বাধীন তাই প্রবাস নামক যুদ্ধ থেকে আমার নিজ দেশে চলে আসলাম আর আমি আমার হৃদয় থেকে আবেগ বিবেক মন মানসিকতা দিয়ে আমি হাত বোলাতে চেয়েছি তারপরও আমার যেন মনে হচ্ছে পিছন দিকে মনে হয় তেড়ে আসছে সেই হায়েনারদের আঘাত তাই আমি চেয়ে আছি আমার আদর্শের মহামানবের ছবি দেখছি। এভাবেই মনের ভাব প্রকাশ করল জাহাঙ্গীর আলম এক জবাবে সে বলে আমি মরহুম ফজলুর রহমানকে বেশি পাইনি কিন্তু তাহার আদর্শে গড়া ধার্মিক পরহেজগার মুত্তাকী খুদাভীরু একজন সিংহ পুরুষ পেয়েছি যার মাধ্যমে আমি বেঁচে আছি।
আমি আমার আদর্শের প্রদীপ হিসেবে বেছে নিয়েছি জনাব মুশফিকুর রহমান মুশফিক সাহেব কে। আমি আছি আমি থাকবো আমি ছিলাম আমি এই রহমান পরিবারের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা এবং তাদের জন্য আন্তরিকতার কমতি নেই এবং নেক দোয়া করছি আল্লাহ যেন তাদেরকে নেক হায়াত এবং কবর বাসীদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। তার এই আবেগময় কথা শেষ হতে না হতেই থমকে গেল কলম।(আবারও চলবে)।