বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ত্রিশাল সরকারী নজরুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ

Reporter Name / ৪৩ Time View
Update : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

মোঃ মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকারী নজরুল কলেজের অরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব বেখা ও তার স্বামী প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঢালাও মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়েছেন বিবৃতি দিয়েছেন সরকারী নজরুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিবৃতিতে শিক্ষকরা জানান, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখা একজন সৎ, দক্ষ এবং দায়িত্বশীল প্রশাসক। ব্যাক্ত জীবনে তিনি ও তার স্বামী সমাজে মানবিক মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদগুলো মিথ্যা, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও বিচার দাবী করছি।
সরেজমিন সরকারী নজরুন কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নন রেখা একজন সৎ দক্ষ এবং দায়িত্বশীন প্রশাসক হিসেবে সচেতন। কলেজের উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সব সময় কাজ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব বেখা। কলেজের ভারপ্রার অধ্যক্ষ হতে না পেরে একজন সহকারী অধ্যাপক ও তার অনুসারীদের নিয়ে একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে সংবাদ পরিবেশন করেছেন বলে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওর মাধ্যমে তা স্পষ্ট করেছেন সংশ্লিষ্ট ওই সাংবাদিক। ফলে প্রমাণিত হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পরিবেশন করা সংবাদগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও যড়যন্ত্রমূলক।

কলেজের শিক্ষল পানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারী নজরুল কলেজটি ত্রিশাল পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা-ময়মনসিংহ ত্রিশাল বাসষ্ট্যান্ড অবস্থিত। কলেজ বাস এলাকাটি জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় কলেজের পূর্ব সীমানা ঘেষে একটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয়।যেখানে একাট কাঁচা বাজার যা কলেজ মার্কেট নামে পরিচিত। যেখানে ব্যাংক, রেস্টুরেন্টসহ বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এটি ২০১৩ সালে নির্মাণ ও বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দেওয়া রয়েছে। কলেজ মার্কেট থেকে প্রান্ত আয় কলেজের ব্যাংক হিসাবে জমা হতো। পরবর্তীতে যা কলেজের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়েছে।
কলেজ জাতীয় করণ/সরকারী করণের পর কলেজের যাবতীয় আয়-ব্যয় হিসেবে সরকারী কোষাগারে জমা হচ্ছে। কলেজটি সরকারী করণের পর প্রথম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হন ফয়জুর রহমান। তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় কলেজের শিক্ষক জয়নব রেখা যেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ না হন এবং অপারগতা প্রকাশ করেন সে জন্য চাপ সৃষ্টি করেন আরেকজন সরকারী অধ্যাপক।

সারদা চাল ও প্রভাব উপেক্ষা করে গত ১/০৯/২০২২ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন জয়নব রেখা। দায়িত্ব নেওয়ার পর কলেজের পড়ালেখার মান উন্নয়ন, কলেজের শৃংখলা ও নিরাপত্তার ব্যাপাক অবদান রাখেন তিনি। সকল শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন ভারঙ্গার অধ্যক্ষ জয়নব রেখা। ঠিক ওই সময় কলেজের ওই সহকারী অধ্যাপক বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্যসহ একজন সাংবাদিককে দিয়ে দিনের পর দিন মিথ্যা, কাম্পনিক সংবাদ ও ফেইসবুকে ভুয়া আইডি দিয়ে অপপ্রচার শুরু করেন কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করে।

কলেজের ভাবলার জয়নব রেখা জানান, আমি অত্যন্ত সততার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৪ সাল থেকে জীব বিজ্ঞানের একজন প্রভাষক হিসেবে এই কলেজে কর্মজীবন শুরু করি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে দায়িত্ব পেয়েছি। এরপর থেকে কলেজে নিয়মিত ক্লাশ, পরীক্ষা ও শ্রেণি কার্যক্রম হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়ম মেনে চলছে পড়ালেখার মান উন্নয়ন হয়েছে।তাতে সরকারি হিসেবের চেয়ে একটি টাকাও বেশী নেওনার নজির নেই। এটি এখন আদর্শ কলেজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কলেজে দুর্নীতি ও

অনিয়মের অভিযোগ তুলা হয় যার কোন ভিত্তি বা প্রমান নেই। সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করতে একটি মহল চক্রান্ত করছে। তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প বানিয়ে অপপ্রচার করেছে। আমি কলেজের সৌন্দর্য বর্ধন করেছি। আমি কখনও কলেজের একটি টাকাও অপচয় করিনি । অসৎ উপায়ে আমার কোন আয় নেই। আমার স্বামী একজন অত্যন্ত সৎ ও মানবিক মানুষ। তিনি এক সময় সিভিল সার্জন ও উপ- পরিচালক ছিলেন। সারা জীবন তিনি মানুষের সেবা করেছেন। সমাজে আমাদের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমাদের দুজনের সারা জীবনের আয় ও বাবার সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে ময়মনসিংহ শহর থেকে দূরে একটি বাড়ী করেছি তাও আবার ১৪ বছরে ধাপে ধাপে। এটা নিয়ে সম্মানে আঘাত না করা হয় জয়নব রেখার স্বামী সাবেক সিভিল সার্জন, বাবেক উপ পরিচালক মো. মাহবুবুল হক জানান, ২৯/০৬/১৯৮৩ সালে এবিবিএ পাশ করি ২৯/০৬/১৯৮৪ সাল থেকে চিকিৎসক হিসেবে আমার কর্ম জীবন শুরু করি। ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমার কর্ম জীবনে আমি মেডিকেল অফিসার, কনসালটেন্ট, লেকচারার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিভিল বার্টন এয় সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উপ পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহন করি। দীর্ঘ কর্ম জীবনে আমি কখনও অর্নৈতিকভাবে একটি পয়সাও আয় করিনি। অত্যন্ত সৎ ও আর্নশিক জীবন যাপন করেছি। সে জন্য কর্ম জীবনে কোথাও আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমি ১৯৯৭ সালে ময়মনসিংহ পৌরসভার বাইরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ২২ শতাংশ নিচু জমি ক্রয় করি। তিন রাশে মোট ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। ২০০৭ সালে আমি বাড়ীর কাজ শুরু করি। ধাপে ধাপে ১৪ বছরে ৬ তলা বাড়ীর কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। এ বাড়ী নির্মাণ করতে নিয়ে আমি আমার জীবনের যাবতীয় সঞ্চয়, বাবার প্রাপ্ত সম্পতি, আমার স্ত্রীর বাবার বাড়ী থেকে প্রায় সম্পত্তি ও আমার যাবতীয় সম্পদ বিক্রি করেছি এমনকি ব্যাংক থেকে ঋণ পর্যন্ত নিয়েছি। সর্বশেষ আমার পেনশনের টাকাগুলোও বাসা নির্মাণে ব্যয় করেছি। আমার বিরদ্ধে এভাবে দিনের পর দিন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমার পরিবার ও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে। শুধু পত্রিকায় নায় ফেইসবুকে অপরিচিত/ফেইক আইডি থেকে মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক কথা লেখা হয়েছে যা অত্যন্ত আপত্তিকর। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দিনো পর দিন এভাবে আমাকে হেয় করায় আমি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছি।

ত্রিশাল উপজেল নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, আমি যতদূর জানি সরকারী নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ জয়নব রেখা একজন সৎ দক্ষ ভালো মানুষ। আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম উনাকে অনিয়ম দুর্নীতি অপচয় করতে দেখিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো শুনেছি। এ বিষয়ে সত্যতা পায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin