নিজস্ব  প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে শুরু হয় কিশোর গ্যাং কালচার। আর এই কিশোর গ্যাং কালচারের মাষ্টার মাইণ্ড হলেন আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক। মোহাম্মদপুর থেকে কিশোর গ্যাং কালচার শুরু হলেও তা আজ সারাদেশে জড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামীলীগের প্রেতাত্বারা নিজেদের ক্ষমতায় রাখতে কিশোর গ্যাং পালন করছেন। মোহাম্মদপুর এলাকাটি ছিলো সন্ত্রাসের জনপদ। দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে সন্ত্রাসীদের প্রশয় দিয়ে আসছিলেন নানক ও বাহিনীর ক্যাডাররা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি অডিটরিয়মে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ বলেন, মোহাম্মদপুরে আ’লীগের দীর্ঘ দিনের সৃষ্টি করা সন্ত্রাসী ও জঞ্জাল দূর করতে চেষ্টা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দলের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনমাফিক সহায়তা করে আসছি। এরই মধ্যেও আওয়ামীলীগের হাই কমাণ্ডের নির্দেশে আ’লীগের দোসররা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি ও তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এজাহারে উল্লেখিত তিন সন্ত্রাসীর দু’জন গ্রেফতারও হয়েছেন পুলিশের হাতে। এজাহারের উল্লেখিত জাভেদ, শাওন রুবেল নামে এসব সন্ত্রাসীরা সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী শ ম রেজাউলের বডিগার্ড ছিলেন।
যুবদল নেতা জাহিদ আরও বলেন, অথচ দু’টি গণমাধ্যম রহস্যজন কারনে এবং আমাদের কোনো বক্তব্য না নিয়ে দোসরদের পক্ষালম্বন করে আমার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। এতে করে শুধু রাজনৈনিক কিংবা সামাজিকভাবেই নয়, পরিবারের কাছেও হেয় হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামলীগের শাসনামলের ১৭ বছরে আমার বিরুদ্ধে এক’র ওপরে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। কিন্তু আ’লীগের প্রেতাত্বারা আজও নোংরা খেলায় মেতে উঠতে চাইছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেচ্চাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি (উত্তর) লিটন মাহমুদ, আদাবর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক এসএম বাবু, মোহাম্মদপুর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আইয়ুব আলী খানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।