মোঃ জিয়াউর রহমান স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদ-উল আযহাকে কন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তায় পুশ-ইন, গবাদি পশু চোরাচালান ও পশুর চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ (৫ জুন) বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর বিজিবি ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে ৪৭ বিজিবি ব্যাটায়িলনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, দেশীয় খামারিদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখার ল ক্ষেবিজিবি ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাচালান রোধে অতিরিক্ত টহল, অস্থায়ী চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ অপারেশন ব্যবস্থা চালু করেছে।
একইভাবে, ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে পাচার হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে সীমান্তে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনীয় স্থানে ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট ও মোবাইল টিম মোতায়েন করে চামড়ার পাচার রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সাথে সময় করে যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে।
এছাড়াও সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ-ইন প্রতিরোধেও বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অনুপ্রবেশ বা পুশ-ইন প্রতিরোধের বিষয়ে প্রতিপক্ষ বিএসএফ’র সাথে পতাকা বৈঠক, লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। সর্ব পরিদেশের সার্বভৌমত্বের, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের জনগণকে নিরাপদে ঈদ উদযাপনের পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় প্রেস ব্রিফিংয়ে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি কমান্ডার আরো উল্লেখ করেন, দেশের চাহিদা পূরণে দেশীয় খামারগুলোতে প্রায় এক কোটি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গরু প্রবেশের কোনো যৌক্তিকতা নেই।এছাড়াও দেশের জনগণ যেন ঈদের ছুটিতে নিরাপদ ও নির্বিঘে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সে ক্ষেত্রে বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি, দেশের অভ্যন্তরেও আইনশৃক্সখলা রক্ষায় অন্যান্য সংস্থার সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে বিজিবি। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক পাচারসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।