নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার সদর উপজেলার  পিআইও মিজানুর রহমান  বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন এক ই কর্মস্থলে থেকে,স্হানীয়  দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত করে  ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের রস চুষে নিয়ে পিআইও মিজানুর রহমান  এখন কোটিপতি! সদর  উপজেলায় গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণা বেক্ষণ কর্মসূচী সহ কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম করে  হাতিয়ে নিয়েছেন শ্রমিকের লক্ষ লক্ষ টাকা! এসব প্রকল্পের মধ্যে মক্তব, মাদ্রাসা, আসবাব পত্র, রাস্তা ঘাট, মাঠে মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য সরকার কাবিটা, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সভাপতি ইউপি সদস্য, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা পছন্দনীয় একজন থাকেন। কোথাও কাজ হয়েছে নামে মাত্র। কোথাও কোন কাজ ই হয়নি। কাজ করতে গরিমশি হলেও বরাদ্দের অর্থ উত্তোলনে আত্মসাৎ করতে ভুল হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, প্রকল্প সভাপতি ও কতিপয়  জনপ্রতিনিধির যোগসাজসে কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে,  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান  যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন  অর্থ বছরের  ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়, যথাক্রমে কাবিটা, কাবিখা ও টিআর সহ কর্মসৃজন প্রকল্প গুলির , বিভিন্ন অজুহাতে  প্রকল্প সভাপতি সহ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে   অফিস খরচের নামে ৩০% ঘুষ নিয়ে এখন কোটিপতি!  ফলে বরাদ্দকৃত  প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। হওয়ার কথাও নয়! তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জুনের মধ্যেই সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করেই বিল উত্তোলন করার কথা থাকলেও, জুনের আগে কাজ শেষ না করে, বিল উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে ।  এ জন্য কমিশন দিতে হয়েছে ৩০%। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকল্প সভাপতিদের অভিযোগে এসব দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্হানীয় সচেতন মহল মনে করেন পিআইও মিজানুর রহমান   যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন সেসব প্রকল্পগুলি  নিরপেক্ষ তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান  এর নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।