স্টাফ রিপোর্টারঃ
চরাঞ্চল একটি বৃহৎ অঞ্চল। এ অঞ্চলের মানুষজন দিন মজুর, খেটে খাওয়া মানুষ ও কৃষির উপর নির্ভরশীল। বেশীর ভাগ মানুষজনই হতদরিদ্র। যাতায়াত ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। একটি ২০ শয্যা হাসপাতাল থাকলেও সঠিক ভাবে কার্যক্রম চালু না।
জানা গেছে, ৫ই আগস্ট এর পর থেকে পরানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সঠিক ভাবে হচ্ছে না। সেবা গ্রহীতাগণ প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসলেও চেয়ারম্যান বা তার স্থলে কাউকে না পেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে সেবা না পেয়ে বিমুখ হয়ে ফিরে যেতে হয়। ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত ইউনিয়ন পরিষদে সেবা গ্রহীতাদের ভীড় থাকলেও চেয়ারম্যান বা তার স্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সচিব মহিলা সালমাও উপস্থিত নেই। সচিব মহিলাকে ফোন দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকারকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় একাধিক সেবা গ্রহীতাদের সাক্ষাৎকারে বুঝা যায় চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকার ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। তার নামে মামলা থাকায় পলাতক রয়েছেন। এদিকে ইউপি সদস্যগণ সহ স্থানীয় লোকজন বলছে চেয়ারম্যান আবু হানিফার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ময়মনসিংহ জাতীয়পার্টি থেকে নির্বাচিত সদরের পরানগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান খোলস ছেড়ে পালটিয়ে হয়ে গেলেন বিষধর সাপের মত।
৫ আগস্টের আগে চেয়ারম্যান হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প পরিচালকের সাথে মুজিবকোর্ট এর জোড়ে ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ না করেই হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। যার মামলার নং -৭৬, ২২ জানুয়ারী পেনাল কোড ১৫(৩) ধারায়। নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফা কথিত সাংবাদিক দ্বারা খোঁজখবর নিচ্ছেন। কে এই সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে নিউজ করলো। তাহলে কি ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফার হাত কি অনেক লম্বা?
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, পরানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকার এর বিরুদ্ধে বা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সঠিক ভাবে মিলছে না এরকম ধরনের লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।