মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল তৈরীতে গোল্ডস্যান্ডস গ্রুপ শীর্ষে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে যুবদলের লিফলেট বিতরণ রূপগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও হুমকির শিকার ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সোসাইটির আত্মপ্রকাশ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, প্রতিবাদে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ রূপগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের সবংর্ধনা ও কলেজের উদ্বোধন অপরাধমুক্ত তরুণ সমাজ গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম — মিজানুর রহমান সেলিম রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড স্থাপন, উত্তেজনা জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে- বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান কাঞ্চন পৌরসভাকে মাদকমুক্ত গড়ার স্বপ্ন  দেখেন সানাউল্লা মান্নান সানি  
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই পায়রা নদীতে খুটা-জাল উচ্ছেদ

Reporter Name / ৬৯ Time View
Update : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪, ৬:৪২ অপরাহ্ন

কাওসার হামিদ, তালতলী(বরগুনা)
বরগুনার তালতলীতে পায়রা নদীতে গত ৫০ বছর যাবত খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে জেলেরা। তবে কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সেই খুটা-জাল উচ্ছেদ করে দেওয়াতে বিপাকে পড়েছে জেলেরা। এই খুটা-জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলেরা।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে বগীরহাট বাজারের পায়রা নদীর পাড়ে জেলেরা মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে এ মানববন্ধন করেন কয়েক হাজার জেলে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঐ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫০ বছর যাবত এই পায়রা নদীতে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছেন জেলেরা। তবে কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা মৎস্য অফিস পায়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে খুটা-জাল উচ্ছেদ করে দেন। এতে কয়েক শত জেলেদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। জেলেরা আরও বলেন, তালতলী উপজেলার সীমানায় এ অভিযান চালানো হলেও বরগুনা সদর উপজেলার সীমানায় খুটা-জাল দিয়ে ওখানকার জেলেরা মাছ শিকার করছেন। একই নদীতে দুই রকম নিয়ম চলতে পারে না। এটা মনগড়া সিদ্ধান্ত, যা সাধারণ জেলেদের পথে বসাবে। তাই মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ সবার আমাদের দাবি অবিলম্বে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকারের অনুমতি দিতে হবে।
জেলে বাদল গুলুমতাজ বলেন, নদীতে এমন অভিযানে আমাদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের পড়নে কাপড় নেই, পেটে ভাত নেই। কিভাবে ছেলেদের লেখাপড়া করাবো সেই চিন্তায় আছি। আমাদের দাবি যাতে পায়রা নদীতে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পারি।
আরেক জেলে চুন্নু সিকদার বলেন, আমরা পড়াশুনা করি নাই, এই নদীতে মাছ শিকার করে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে হয়। আমার তিনটা কিস্তি আছে। কোনো সতর্কতা ছাড়াই নদীতে এমন অভিযানে নির্স্ব হয়ে গেছি। আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি কিস্তির জন্য। তিনি আরও বলেন, একই নদীতে দুই নিয়ম কিভাবে হয়। বরগুনা সদরের পাড়ের জেলেরা খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন আমরা কেন বঞ্চিত হতে যাবো। আমাদের দাবিও মানতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, খুটা-জাল সম্পূর্ণ অবৈধ। জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নদী উন্মুক্ত থাকবে। খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পারবে না। এই অবৈধ দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, অবৈধ খুটা-জাল উচ্ছেদ অভিযানে কোনো পূর্ব সর্তকতার দরকার নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin