
ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশে ১০ টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে চলতি বছর APA রেংকিং এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ১ম স্থান অধিকার অর্জন করেছে। ডা মোস্তাফিজুর রহমান ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ এ অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২০ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখে যোগদান করার পর থেকে প্রত্যেকে বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার মান , সেবা উন্নত হয়েছে । নিজের পরিবার ও সন্তানদের মতো মেডিকেলের ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার সেবা দিয়ে আসছে । সাম্প্রতি এই পরিশ্রমের ফল হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সহ মান্ননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা সার্বিক বিবেচনা করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজকে বাংলাদেশের ১০ টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ১ম স্থান অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করেছেন । এছাড়া বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেডিকেল শিক্ষকদের মধ্যে ২য় হয়েছেন উপ অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা ও ৩য় হয়েছেন ডা. রেজাউল কাদের। পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা পরীক্ষায় (DGO, D orto) শতভাগ পাশের হার এবং ১৭জন ছাত্র-ছাত্রী ৩য় পেশাগত পরীক্ষায় এবার অনার্স নম্বর অর্জন করেছেন।
এ সাফল্য ও অর্জনের বিষয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডা মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু জানান , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ক্রমান্বয়ে পেপারলেস অফিস হবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ মাস থেকে যুক্ত হতে যাচ্ছে কলেজের নিজস্ব মোবাইল আপস BSMMC । এটা আপাতত এন্ড্রয়েড প্লাটফর্মে কাজ করবে।এ আপসের মাধ্যমে শিক্ষকগন সকল ক্লাসে হাজিরা নেয়া, আইটেম, কার্ড, ওয়ার্ড কমপ্লিশনসহ সকল পরীক্ষায় স্টুডেন্টদের মার্কিং করা, পরীক্ষার জন্য এলিজিবল স্টুডেন্ট বের করতে পারবেন।শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অটোজেনারেটেড পরিচয়পত্র প্রদান, মার্কশীট জেনারেশন, সার্টিফিকেট জেনারেশন, ট্রান্সক্রিপ্ট জেনারেশন, সকল ডাটা স্টোরেজ করা, কোন স্টুডেন্টের ক্লাসে উপস্থিতির হার ৭৫% এর নীচে গেলে অটো তার ও তার শিক্ষকদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো, পারফর্মেন্স শীট জেনারেশন সহ অনেক কাজ অটোমেটিক কয়েকটা টাচে করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষকদের হাজিরা খাতা ও স্টুডেন্টদের কার্ড বহন করতে হবেনা বা সেটা হারাবেনা।
তিনি আরো জানান, কোনদিন কোন শিক্ষক কি ক্লাস নিয়েছেন, সকল ক্লাস সময়মত সম্পন্ন হয়েছে কিনা, ছাত্রদের উপস্থিতি এমন বিষয়সমুহ বিভাগীয় প্রধান,ফেজ কোঅরডিনেটর, একাডেমিক কোঅর্ডিনেটর ও অধ্যক্ষ এ আপসে টাচ করেই মনিটর করতে পারবেন। স্টুডেন্টদের ছুটির দরখাস্ত ও এর মাধ্যমে করতে হবে এবং সেটা এপ্রুভাল পেলে সংশ্লিষ্ট সকল স্থানে অটো আপডেট হবে এমনকি ক্লাসে উপস্থিতির ঘরেও। এমনকি ছুটি এপ্রুভ করতে গেলে কতৃপক্ষের সামনে অটো ভেসে উঠবে সে স্টুডেন্টের ইতিমধ্যে ভোগকৃত ছুটির হিসাব।
উল্লেখ্য ,ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের শিক্ষক , ছাত্র ছাত্রী ও একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান , অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকেই আমরা একের পর এক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছি । এ অর্জনের শতভাগ অধ্যক্ষ সাহেবের পরিশ্রমের ফল । তারা আরো জানান , তিনি সব সময় প্রতিষ্ঠানের সকলের খোজ খবর নেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন ।