রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে যুবদলের লিফলেট বিতরণ রূপগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও হুমকির শিকার ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সোসাইটির আত্মপ্রকাশ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, প্রতিবাদে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ রূপগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের সবংর্ধনা ও কলেজের উদ্বোধন অপরাধমুক্ত তরুণ সমাজ গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম — মিজানুর রহমান সেলিম রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড স্থাপন, উত্তেজনা জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে- বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান কাঞ্চন পৌরসভাকে মাদকমুক্ত গড়ার স্বপ্ন  দেখেন সানাউল্লা মান্নান সানি   তারেক রহমানের নির্দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলেন ছাত্রদল নেতারা
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ফরিদপুরে কাঙ্খিত লাভের মুখ দেখার শংকায় পাট চাষীরা

Reporter Name / ১৩৯ Time View
Update : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:০৩ অপরাহ্ন

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া হুমকীর মুখে  পড়ছে ফরিদপুরের পাট শিল্প। যার দরুন  চলতি বছরে জেলায় পাট আবাদের লক্ষমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আর নানা সংকট এবং উৎপাদন সংশ্লিষ্ট পন্য সামগ্রির মূল্য বাড়লেও সে অনুপাতে পাটের মূল্য না বাড়ায় চাষীরা পোষাতে পারছেন না বলে দাবী করেছেন। যদিও কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খরা ও বৃষ্টির  কারণে কমেছে পাটের আবাদ।
 সরেজমিনে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মিল কারখানায় পাট সরবরাহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষী এবং পাটকলের স্থানীয় এজেন্টরা। জেলার ছোটো ছোটো হাট বাজার থেকে পাট ক্রয় করে ট্রাক যোগে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জেলার পাটকলে। এছাড়া পাটের মান অনুযায়ী সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করে মূল্য নির্ধারণ করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
 ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার পাট ব্যবসায়ী শুশান্ত কুমার ধাম, ইলিয়াস জমাদ্দার এবং পাট চাষী ধর্মদি গ্রামের লিয়াকত, পুকুরিয়া গ্রামের সোলায়মান মিয়াসহ কয়েকজন চাষী জানান, এবছর জেলায় মান অনুযায়ী প্রতি মন পাট তিন হাজার থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার চারশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা বিগত বছরের তুলনায় দুই থেকে তিনশ টাকা বেশী। যদিও চাষীরা দাবী করেন, এ বছর পাটের উৎপাদন খরচই তিন হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তারা জানান, জৈষ্ট মাসে পাট রোপন মৌসুমের শুরুতে খরার কারণে ঠিকমতো বাড়তে পারেনি পাটের গাছ, এছাড়া অনেককে সেচ দিয়ে পাটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যবস্থা করায় বেড়েছে উৎপাদন খরচও।
জেলা পাটচাষী ওয়াদুদ তালুকদার, শেখ বহর,  সুবোধ চন্দ্র, কালাম সরদার  সহ কয়েকজন জানান, বিগত বছরের চেয়ে এ বছর পাট উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত সব ধরনের সেবার মূল্য বেড়ে গেছে। শ্রমিকের মূল্য ছয়শ থেকে বেড়ে আট থেকে নয়শ টাকায় দাড়িয়েছে, বেড়েছে সেচ খরচ, সার ঔষধসহ অন্যান্য পন্যের মূল্যও। সব মিলিয়ে বিগত বছরের তুলনায় এবছর পাট উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতায়শ বেড়েছে। যদিও সে তুলনায় আনুপাতিক হারে বাড়েনি পাটের বাজার মূল্য।
তারা দাবী করেন, পাট চাষ করে বার বার কাঙ্খিত লাভের মুখ দেখতে না পারায় অনেকেই পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে পাট আবাদে আগ্রহ হারাবে এতদাঞ্চলের কৃষকরা।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯ টি উপজেলায় ৮৮ হাজার একশো হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৮৬ হাজার পাঁচশ ৪০ হেক্টরে। লক্ষমাত্রার থেকে এক হাজার পাঁচশ ৬০ হেক্টর জমিতে কম আবাদ হয়েছে।
উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে লক্ষমাত্রা পূরণ হয়নি, তবে উৎপাদন হেক্টর প্রতি ২.৫ মেট্রিকটন হারেই হয়েছে। তিনি মনে করেন, পাটকল মালিকরা মৌসুমের শুরুতেই পাটক্রয় করলে কৃষকরা বেশ লাভবান হতেন। তবে পাটের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সুপারিশ করার আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার আবাদ করা জমি থেকে এবছর দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিকটন পাট উৎপাদন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin