মোঃ জিয়াউর রহমান,, নিজস্ব প্রতিবেদক কুষ্টিয়া
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনটা হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা। তারা এখন একটা বিশেষ কোন দেশের ষড়যন্ত্রের ক্রীড়ানোক হিসেবে ব্যবহারিত হচ্ছে। দেশবাসী দেখেছে বিএনপি কোন কর্মসূচির আগে বিশেষ কোন রাষ্টদুতদের বাসায় অফিসে দৌড়াদৌড়ি করে আবার কর্মসূচির পরে তাদের কাছে যেয়ে রিপোর্ট করে এটা একটা অবাক করার বিষয়।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ।
এ সময় হানিফ একই প্রসঙ্গে আরো বলেন এদেশে রাজনীতি করে এদেশের রাজনৈতিক দল তারা, অথচ বিদেশী দুতাবাসের পরামর্শে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়, তাদের কাছে রিপোর্ট করতে হয় এটা শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা পৃথিবীতে নজিরবিহিন ঘটনা। এর মধ্যেদিয়ে প্রমাণিত যে বিএনপি তারা তাদের নিজস্ব কোন রাজনৈতিক অভিলাসী নয় বিদেশী কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা এই সমস্ত কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটা চক্রান্তে লিপ্ত আছে।
হানিফ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল, সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেই কিন্তু আওয়ামী লীগ আজকে এই পর্যায়ে এসেছে। সুতারাং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে খুব একটা লাভ হবেনা। আওয়ামী লীগের প্রতি যতক্ষণ সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই পরাস্ত করা সম্ভব হবেনা।
হানিফ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্টভিত্তিক একটি সংগঠন আইআরআই তারা যে জরিপ করেছে সেখানেও কিন্তু পরিষ্কার ফুটে উঠেছে এদেশের এখনো ৭০ ভাগ মানুষ মনে করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সঠিকভাবে চলছে। এর মধ্যেদিয়ে প্রমাণিত যে এখনো ৭০ ভাগ মানুষের আস্থা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর আছে।
হানিফ বলেন, যতদিন দেশের জনগণের আস্থা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপরে থাকবে, এই সরকারের উপর থাকবে ততদিন কোন ষড়যন্ত্র এই সরকারকে ঘায়েল করতে পারবেনা। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, নিয়ম মেনে এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুমতি নিয়ে যেকোন শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচির নাম করে যদি কোন সহিংসতা করে, জালাও পোড়াও করে, তাহলে সেটাকে কঠোর ভাবেই দমন করা হবে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস প্রমূখ।