জুলাই বিপ্লবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়েছে, গফরগাঁওয়ের সর্বদলীয় ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম — গফরগাঁও সমমনা উলামা ঐক্য পরিষদ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের কবর জিয়ারত করে তাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন তারা।
সেই সাথে আহতদের খোঁজখবর নিয়েও তাদের স্বান্তনা দেন। এ বিষয়ে সংগঠনটির সমন্বয়ক মাওলানা মাহদি হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের মহানায়কদের সংগঠন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই কণ্টকাকীর্ণ পথ মারিয়ে যেসব অগ্রসেনানীরা আমাদের হাতে বিপ্লব এনে দিয়েছেন, তাদের কাছে আমরা ঋণী। যে ঋণ শোধ করা যায় না। তবুও সাধ্যমত তাদের কিংবা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। উল্লেখ্য, গফরগাঁও উলামা সমিতির আহ্বানে গত ১৪ আগষ্ট ২৪ঈ. (বুধবার) সকাল ১০টায় গফরগাঁও শিবগঞ্জ রোডস্থ ২নং গলিতে অবস্থিত মাদরাসাতুল মাদিনায় গফরগাঁওয়ের রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সর্বদলীয় সংগঠনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে সর্বদলীয় ঐক্যের লক্ষ্যে গফরগাঁও সমমনা উলামা ঐক্য পরিষদ গঠিত হয়।
এর কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রত্যেক সংগঠন থেকে ২জন সদস্যকে সমন্বয়ক করা হয়। সংগঠনগুলো হল, ১. গফরগাঁও উলামা সমিতি, ২. হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, গফরগাঁও উপজেলা শাখা। ৩. ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী, গফরগাঁও উপজেলা শাখা। ৪. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গফরগাঁও উপজেলা শাখা। ৫. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গফরগাঁও উপজেলা শাখা। ৬. খুদ্দামুল মুসলিমীন বাংলাদেশ, গফরগাঁও উপজেলা শাখা। ৭. খেলাফতে যুব মজলিস, গফরগাঁও উপজেলা শাখা। সংগঠিত হওয়ার পর তারা মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেন। এটা তাদের প্রথম কর্মসূচি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এর মধ্যে উপজেলার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও বাজার মনিটরিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। এরপর জাতীয় ইস্যুতে প্রয়োজনে তাদের কর্মসূচি আসবে বলেও সংগঠিনটির একাধিক সমন্বয়ক জানিয়েছেন।