
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাবু শেখ (১৯) নামে এক যুবককের গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাতে ময়না ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের জাফর শেখের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। বাবু শেখ ওই ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের মো. মিজানুর শেখের ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ির মালিক জাফর শেখ পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের মো. মিজানুর শেখের ছেলে বাবু শেখ গত এক মাস আগে একই গ্রামের জাফর শেখের নছিমনের একটি ব্যাটারী চুরি করার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে জাফর শেখের বাড়ির পাশ দিয়ে আসার সময় বাবু শেখকে ডেকে নিয়ে বসতঘরে আটকিয়ে রাখে। বাবু শেখের বাড়ির লোকজন তাকে আনতে গেলে জাফর শেখ তাদেরকে বার বার ফিরিয়ে দেয়। পরের দিন বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫ দিকে জাফর শেখ বাবু শেখের চাচী জোসনা বেগমকে ফোন করে বলে বাবু গলায় ফাঁস নিয়েছে। এর মধ্যে জাফর শেখের প্রতিবেশি শিল্পি বেগম (৩৫) বাবুকে জাফর শেখের বসতর ঘরের বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় বোয়ালমারী থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহত বাবু শেখের দাদা নইমুদ্দিন শেখ (৭৫) জানান, নছিমনের একটি ব্যাটারী চুরি করার অভিযোগে জাফর শেখের বাড়িতে বাবুকে আটকিয়ে রেখে পরে পরের দিন বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে জাফর শেখ বাবু শেখের চাচী জোসনা বেগমকে ফোন করে বলে বাবু গলায় ফাঁস নিয়েছে।
লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক কাজী আবুল বাশার বলেন, লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।